সুনামগঞ্জে মাদ্রাসাছাত্রকে পিটুনি, এক বছর পর ভিডিও ভাইরাল
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার হাজী ইউসুফ আলী এতিমখানায় হাফিজিয়া দাখিল মাদ্রাসার আট বছরের এক শিশুকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। আর এই মারধরের ভিডিওটি ২০২০ সালের হলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে এলে এটি ভাইরাল হয়ে যায়। এ নিয়ে মানুষের মধ্যে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
নির্যাতিত শিশুর নাম আবু তাহের (৮)। সে উপজেলার রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি ২০২০ সালের। নির্যাতনের ঘটনাটি মাদ্রাসার অন্য কোনো শিক্ষক গোপনে ধারণ করেন।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ বলছে, ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ায় আমরা যে নির্যাতন করেছিল তাকে এবং যে ভিডিও ধারণ করেছিল তাকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
দুই মিনিট দুই সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, পাজামা-পাঞ্জাবি পরা তিন শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে আছে। ওই মাদরাসা শিক্ষক তাদের মধ্যে এক শিশুর দুই হাতে স্টিলের স্কেল দিয়ে বার বার আঘাত করছেন। আর শিশুটি চিৎকার করেছেন। এক পর্যায়ে সহ্য করতে না পেরে মাদ্রাসার শিক্ষকের পায়ে ধরে আর তাকে না মারতে অনুরোধ করছে। তারপরও শিক্ষক তাকে পেটানো বন্ধ করেনি।
এর আগে আরও দুই শিশু শফিউর ও নিলয়কেও একইভাবে পেটানো হয়।
এভাবে শিশুদের পেটানো ছাতক উপজেলার হাজী ইউসুফ আলী এতিমখানায় হাফিজিয়া দাখিল মাদ্রাসার মোহতামিম (অধ্যক্ষ) মো. আব্দুল মুকিত কয়েক বছর আগে ওই মাদরাসায় নিয়োগ পান। তিনি উপজেলার রহমতপুর গ্রামের বাসিন্দা।
ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘এ ব্যাপারে যতটুকু খবর পেয়েছি ওই ভিডিওটি ২০২০ সালের। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষককে ঘটনার পরপরই চাকরি থেকে অব্যহতি দিয়েছে। কিন্তু গত দুদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি ছড়ালে আবারও ভাইরাল হয়ে যায়। তারপরও আমরা তাকে খুঁজছি, তাকে পেলেই আমরা আটক করব।