সুন্দরবনে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল, সংগ্রহ করবে তথ্য
জাতিসংঘের যৌথ মিশনের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল তিন দিনের সুন্দরবন পরিদর্শন করছে। আজ বুধবার সুন্দরবনের ভেতরে প্রবেশ করেছে দলটি।
বুধবার দুপুরে মোংলার বনবিভাগের ফুয়েল জেটি থেকে প্রতিনিধি দলটি বনবিভাগের নৌযান ‘বনবিলাসে’ উঠেন। প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রয়েছেন বনবিভাগের উচ্চ পদস্থ প্রতিনিধিরাও। আগামী ১৩ ডিসেম্বর দলটি সুন্দরবন থেকে ফিরবে বলে জানা যায়।
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেস্কোর এবং প্রকৃতি রক্ষার বৈশ্বিক সংগঠন আইইউসিএনের একটি যৌথ মিশনের দুই পুরুষ ও দুইজন নারী পরিবেশবিদ টানা তিনদিন ধরে সুন্দরবনে অবস্থান করবেন। তাঁরা পরিবেশগতভাবে হুমকির মুখে থাকা বিশ্ব ঐতিহ্য এ বনের জীববৈচিত্র্যের বর্তমান অবস্থান সরেজমিনে দেখবেন ও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করবেন।
জাতিসংঘের এই যৌথ মিশনটি সুন্দরবন পরিদর্শনের পাশাপাশি বনের আশপাশে অবস্থিত শিল্প কলকারখানা বিশেষ করে রামপালের কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, বরগুনার তালতলী ও পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নির্মিতব্য কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রভাব, আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দর মোংলার পশুর চ্যানেলসহ অন্যান্য নদী খননের ফলে সুন্দরবনের প্রাণ-প্রকৃতির ওপর প্রতিবেশগত যে বিরূপ প্রভাব পড়বে তাও পর্যালোচনা ও মূল্যায়ণ করবেন।
ওই যৌথ মিশনের দেওয়া তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করেই ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ কমিটি সুন্দরবনের প্রাণ-প্রকৃতির ওপর প্রতিবেশগত হুমকির বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করবে।
প্রতিনিধি দলে রয়েছেন ইউনেস্কোর নয়াদিল্লী অফিসের প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট ফর ন্যাচারাল সায়েন্স বিভাগের মিস্টার গাই ব্রুক, ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সেন্টারের অ্যাকান নাকামুরা, আইইউসিএনের এলিনা অসিপভা ও এন্ড্রো ওয়াইট।
এদিকে এই প্রতিনিধি দলের সুন্দরবন পরিদর্শনকে কেন্দ্র করে বনবিভাগের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিলসহ বনে অবাঞ্চিত লোকজনের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া সব ধরনের বনজ-জলজ সম্পদ আহরণ বন্ধ রেখেছে বনবিভাগ।