সেলফি তুলতে গিয়ে পুকুরে ডুবে রুয়েট ছাত্রের মৃত্যু
সেলফি তুলতে গিয়ে পুকুরে পড়ে যাওয়া মোবাইল ফোন খুঁজতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা গেছেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) মহিউদ্দীন তাজ নামের এক শিক্ষার্থী। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রুয়েটের ব্যাচেলর কোয়ার্টার পুকুরে ডুবে তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত মহিউদ্দিন তাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও তড়িৎ প্রকৌশল (ইইই) বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার কয়রা গ্রামের এনামুল হকের ছেলে। শহীদ জিয়াউর রহমান হলের ৪১৮ নম্বর কক্ষে থাকতেন মহিউদ্দীন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সেলফি তুলতে গিয়ে পুকুরে মহিউদ্দীন তাজের মোবাইল পড়ে যায়। মোবাইল খুঁজতে পুকুরে নামলে পানিতে তলিয়ে যান। এ সময় কাছে থাকা আনসার সদস্য ও শিক্ষার্থীরা তাঁকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাজকে মৃত ঘোষণা করেন।
নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ জানান, রুয়েটের ভেতরে পুকুরপাড়ে দুপুরে সেলফি তুলতে গিয়ে মোবাইল পড়ে যাওয়ার পর প্রথমে পানিতে নামেন ওই শিক্ষার্থী। ফোন খুঁজে না পেয়ে উঠে আসেন। কিছুক্ষণ পর আবার নামেন। এবার তিনি পুকুরের মধ্যখানে যান। এ সময় গভীর পানিতে তিনি তলিয়ে যান।
রুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক রবিউল আওয়াল বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমাকে জানায় তাজ নামের একজন ছাত্র পুকুরে ডুবে গেলে তাঁকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পরে আমি হাসপাতালে যাই। তাঁর সহপাঠীদের কাছে জেনেছি সেলফি তুলতে গিয়ে তাঁর মোবাইল ফোন পুকুরে পড়ে যায়। পরে পানিতে নেমে ফোন খুঁজতে গিয়ে ডুবে যান তাজ।’