‘সৌদি চাকরিদাতারা শ্রমিক নিতে না চাইলে সরকারের কিছু করার নেই’
সৌদি আরবে কফিল বা চাকরিদাতা যদি শ্রমিক নিতে না চান, তাহলে সরকারের কিছু করার নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। এদিকে, আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু করে সপ্তাহে সৌদি আরবে ২০টি ফ্লাইটে যাত্রী আনা-নেওয়া করা হবে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এর মধ্যে সৌদি এয়ারলাইনস ১০টি এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ১০টি করে ফ্লাইট পরিচালনা করবে। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আজ বুধবার দুপুরে সৌদি আরবসহ ছয় দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষ এসব জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘আগামীকাল থেকে এই ২০টি ফ্লাইট চলাচল শুরু হবে। সৌদি এয়ারলাইনস ১০টি ফ্লাইটের সঙ্গে বাংলাদেশ বিমানেরও ১০টি ফ্লাইট পরিচালিত হবে।’
আন্দোলনরত শ্রমিকদের সমস্যার সমাধান হয়েছে কিনা জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আজকের বৈঠকে এটির কোনো সমাধান আমরা করতে পারিনি। আমরা তাদের অনুরোধ করেছি, আপনারা সরকারকে বলেন যেন ওদের (শ্রমিকদের) সাহায্য করে। আমরা তাদের বলেছি, বিষয়টি মানবিক দিক থেকে বিবেচনা করতে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ‘যিনি নিয়োগদাতা, তিনি যদি শ্রমিক নিতে না চান, তাহলে যেতে পারবে না। কারণ যিনি কাজ দেবেন, তিনিই যদি নিতে না চান, তাহলে আপনি যেতে পারবেন না। ওখানে সরকারের কিছু করার নেই।’
সৌদিপ্রবাসীদের আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দেখেন যিনি চাকরি দেবেন, তিনি যদি চাকরি না দেন, তাহলে সেখানে কী করার আছে। সরকার তো মালিককে জোর করে চাকরি পাইয়ে দিতে পারবে না। তাই রাস্তায় না নেমে নতুন চাকরি খুঁজলে ভালো হবে। কারণ, তারা তো প্রশিক্ষিত। তারা অন্য জায়গায় চাকরি খুঁজবেন আর তাদের জন্য প্রধানমন্ত্রী সাতশ কোটি টাকার বিশাল একটি তহবিল প্রস্তুত করেছেন, দরকার হলে আরো আসবে। তারা দেশেও চিন্তা করতে পারেন কাজ করার।’
এ বিষয়ে প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, ‘আজকের বৈঠকে ছয়টি দেশের মধ্যে কোনো দেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন না। কারণ, রাষ্ট্রদূতরা তাঁদের দেশে রয়েছেন। আর এখানে যাঁরা আছেন, তাঁরা এমনিতেই কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন না। আমরা আমাদের সমস্যা উনাদের জানিয়েছি, এগুলো সমাধান করার অনুরোধ করেছি, এ কথাগুলো উনাদের সরকারের কাছে যাবে। পরের রেজাল্ট কী হবে, এটা এখনো বলা যাবে না। প্রবাসীদের আকামা-ভিসা এসব নিয়ে আমরা উনাদের সঙ্গে আলাপ করছি। এটার রেজাল্ট এখনো পাইনি, এটার জন্য আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে।’
প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশাবাদী, এ সমস্যার সমাধান হবে। তবে এরপরও আশাবাদী থাকার পাশাপাশি, নাও হতে পারে এ বিষয়টিও আমাদের মাথায় রাখতে হবে। না হতে পারলে এর পরিবর্তে কী হবে, সে পরিকল্পনাও করে নিতে হবে। আমরা যদি একটা নিয়ে বসে থাকি আর ওটা যদি না হয়, তাহলে আমরা তো কোনোদিনও শান্তিতে থাকতে পারব না।’