স্কুলে বার্ষিক ভোজন, মুচলেকায় ছাড়া পেলেন প্রধান শিক্ষক
করোনাভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে বার্ষিক ভোজনের আয়োজন করেছিল রাজশাহী শিরোইল কলোনী উচ্চ বিদ্যালয়। খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিরঞ্জন প্রামাণিককে আটক করে।
পরে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কাছে মুচলেকা দিলে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক প্রধান শিক্ষককে বলেছেন, করোনা নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ ধরনের কাজ আর করবেন না।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে শিরোইল কলোনী উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল মালেক। এ সময় তিনি বার্ষিক ভোজন বন্ধ করে স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বার্ষিক ভোজন উপলক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির মাঠ ডেকোরেটরের কাপড় দিয়ে ঘেরা রয়েছে। স্কুলের ভেতর চলছে রান্নার কাজ। শিক্ষার্থীরা মাঠে হৈ-হুল্লোড় করছে।
শিমলা নামের এক শিক্ষার্থী বলে, ‘স্কুলে ভর্তির সময় বার্ষিক ভোজনের জন্য তাদের কাছ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা করে চাঁদা নেওয়া হয়েছিল। সেই টাকা দিয়েই আজকে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।’
করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, তারপরও তারা কেন স্কুলে এসেছে, এমন কথার উত্তরে কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, ‘স্যাররা পিকনিকে (বার্ষিক ভোজন) আসতে বলেছিলেন, তাই আমরা এসেছি।’
সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল মালেক বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক নিরঞ্জন প্রামাণিককে ডিসি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রধান শিক্ষক মুচলেকা দেন। এরপর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’