স্থগিত হওয়া কালকিনি পৌরসভার নির্বাচন আজ
স্থগিত হওয়া মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভার নির্বাচন আজ বুধবার শুরু হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে। এরইমধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ব্যাপক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানিয়েছে, গত ৬ ফ্রেব্রুয়ারি নির্বাচনি প্রচারণা থেকে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মসিউর রহমান সবুজ নিখোঁজ হন। এর প্রতিবাদে কালকিনি থানা ঘেরাও করেন তাঁর সমর্থকেরা। টায়ার জ্বালিয়ে স্লোগান দেন বিক্ষুব্ধরা। এতে কালকিনি-ভুরঘাটা-মাদারীপুর আঞ্চলিক সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষোভ-মিছিলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালান নৌকার প্রার্থী এস এম হানিফের সমর্থকেরা। ওই সময় দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত হন অর্ধশত মানুষ। নিখোঁজের ১১ ঘণ্টা পর দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে কালকিনি পৌরসভার দক্ষিণ কৃষ্ণনগরে নিজ বাড়িতে ফেরেন মসিউর রহমান।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কালকিনি পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। দফায় দফায় সংঘর্ষ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মসিউর রহমানের নিখোঁজের ঘটনা নিয়ে আলোচনায় উঠে আসে কালকিনি পৌরসভার ভোটগ্রহণের বিষয়টি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় গত ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। পরে পরিবেশ স্বাভাবিক হলে স্থগিত হওয়া নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ৩১ মার্চ দিন নির্ধারণ করা হয়।
এখানে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন এস এম হানিফ। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নারিকেল গাছ প্রতীকে মসিউর রহমান সবুজ ও চামচ প্রতীক নিয়ে সোহেল রানা মিঠু নির্বাচন করছেন। এদিকে, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের মনোনীত হাতপাখা মার্কার প্রার্থী লুৎফর রহমানও মাঠে রয়েছেন। বিএনপি থেকে ধানের শীষ প্রতীকের মনোনয়ন নিয়ে মো. কামাল হোসেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও দলীয় সিদ্ধান্তে নির্বাচন থেকে সরে গেছেন তিনি।
মাদারীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও কালকিনি পৌরসভার রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, কালকিনি পৌরসভার মোট ভোটার ৩৩ হাজার ৪০০ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১৬ হাজার ৭০০ ও পুরুষ ভোটার ১৭ হাজার ৩০০ জন। এই পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ইভিএম পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য বিপুল পরিমাণ পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, ম্যাজিস্ট্রেটসহ একাধিক সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে। এখানে মেয়র পদে পাঁচজন, কাউন্সিলর পদে ২৬ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।