স্মার্ট বাংলাদেশের আরও বেশি অর্থনৈতিক সংযোগ প্রয়োজন : পিটার হাস
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, বিশ্বমঞ্চে নেতা হিসেবে স্থান করে নিতে স্মার্ট বাংলাদেশের বৃহত্তর অর্থনৈতিক সংযোগ প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে বৈশ্বিক অর্থনীতির সঙ্গে আরও বেশি সংযুক্ত হতে হবে এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে হলে বৈশ্বিক ব্যবসায়ীদের অবশ্যই বাংলাদেশে একটি স্বাগতিক ও ব্যবসায়িক পরিবেশ খুঁজে পেতে হবে।’
গতকাল রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাস রাজধানীর ইএমকে সেন্টারে ‘বাংলাদেশে অনলাইন ফ্রিডম অ্যান্ড বিজনেস ইনভেস্টমেন্ট’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় বক্তব্য দেওয়ার সময় এ কথা বলেন।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা মার্কিন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে শুনেছি যে, তারা এখানে বিনিয়োগ করতে এবং তাদের ব্যবসা বাড়াতে চায়। বাংলাদেশের বাজার খুবই আকর্ষণীয়। এই কারণেই, আমরা সম্প্রতি দূতাবাসে একটি বৈদেশিক বাণিজ্যিক পরিসেবা কার্যালয় খুলেছি।’
হাস বলেন, ‘প্রায় এক বছর আগে বাংলাদেশে আসার পর থেকে যেভাবে ফুডপান্ডা থেকে বিকাশ ছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্রুত গতিতে ডিজিটাল যুগে পা রাখছে তাতে আমি মুগ্ধ। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরে, বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা এই শতাব্দীর ডিজিটাল বিশ্বে মূল ভূমিকা পালনের উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে তুলে ধরে। একই সময়ে বিশ্বে দ্রুত পরিবর্তন ঘটছে। প্রতিটি দেশ, সরকার ও সমাজ নতুন প্রযুক্তির অপ্রতিরোধ্য গতির কারণে নাটকীয় পরিবর্তনের সম্মুখীন হচ্ছে।’
হাস বলেন, ‘এই প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সঙ্গে সামঞ্জস্য বিধান এবং এই পরিবর্তন প্রতিফলিত করতে আইনি ও নিয়ন্ত্রণ কাঠামোর সমন্বয় করার চ্যালেঞ্জসমূহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, বাংলাদেশে এবং সারা বিশ্বে আমাদের সবার সামনে আসছে। অনলাইন বিশ্ব আমাদের ব্যাপক সুযোগ ও উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন করেছে।’
পিটার হাস আরও বলেন, ‘সর্বত্র সরকারকে অবশ্যই এই অনলাইন স্পেস এবং এর সঙ্গে থাকা ব্যবহারকারীর ডেটা পরিচালনা করার জন্য একটি উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে হবে, একই সঙ্গে জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশে আমাদের মিশনের অগ্রাধিকারগুলোর মধ্যে একটি হল বাংলাদেশের অর্থনীতির সম্প্রসারণ এবং বৈচিত্র্যের মাধ্যমে অর্জিত টেকসই ও ব্যাপক অংশীদারিত্ব-ভিত্তিক সমৃদ্ধি, যে অর্থনীতি হবে বৃহত্তর আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বাণিজ্যের জন্য উন্মুক্ত।’