স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছে এটুআই
২০৪১ সাল নাগাদ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার সরকারের নতুন রূপকল্প দ্রুত বাস্তবায়নে সারা বছর ধরে বিভিন্ন সরকারি সেবা সহজিকরণ করতে এটুআই বেশকিছু ডিজিটাল প্রোগ্রাম উদ্ভাবন ও বাস্তবায়ন করেছে। বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে উন্নীত করার লক্ষ্যে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’র সফল বাস্তবায়ন সরকারকে ‘ভিশন-২০৪১’ এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে একটি উদ্ভাবন ও জ্ঞান-ভিত্তিক ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার নতুন লক্ষ্য গ্রহণ করতে উৎসাহ যুগিয়েছে।
এটুআই প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবির বাসসকে বলেন, ‘২০৪১ সাল নাগাদ একটি উদ্ভাবনী ও জ্ঞান-ভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার সরকারের নতুন লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করতে এটুআই বেশ কিছু ডিজিটাল ডিভাইস তৈরি করেছে।’
হুমায়ূন কবীর আরও বলেন, ‘এই লক্ষ্য অর্জনে সরকার ইতোমধ্যেই চারটি ভিত্তি ঠিক করেছে। এগুলো হলো—স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনোমি, স্মার্ট গভর্ণমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি।’
এটুআইয়ের গত বছরব্যাপী কর্মসূচির বর্ণনা দিতে গিয়ে ড. কবির বলেন, “এটুআই দুটি বই প্রকাশ করেছে—‘আমার ডিজিটাল বাংলাদেশ : উদ্ভাবনে জন্য এটুআই’ এবং ‘এটুআই জার্নি’। বই দুটিতে প্রথম থেকে নাগরিক সেবা সহজীকরণ করতে যেসব ডিজিটাল প্রযুক্তি উদ্ভাবন হয়েছে, তা বর্ণিত আছে।” তিনি বলেন, ‘এ বছর এটুআইয়ের সহায়তায় সিভিল সার্ভিস ২০৪১ শুরু হয়েছে। সরকারের সেবাগুলো সহজ করার পাশাপাশি বড় বড় প্রকল্পগুলো স্মার্ট সিটি ও স্মার্ট ভিলেজ গড়তে সহায়তা করছে।’
রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। করোনা অতিমারির সংকটকালীন মুহূর্তেও ঘরে বসেই অনলাইনে নাগরিকগণ প্রায় সকল ধরনের সেবা পেয়েছেন, যা ডিজিটাল বাংলাদেশরই সুফল। দেশের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে শিক্ষা, অফিস-আদালত, ব্যাংক, সভা-সেমিনার, কনফারেন্স ইত্যাদি অনলাইনভিত্তিক করার পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনাকাটা ঘরে বসেই করতে পেরেছেন। এ ছাড়া তথ্যপ্রযুক্তিকে ঘিরে করোনাবিষয়ক তথ্যসেবা, টেলিমেডিসিন সেবা, সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য জরুরি খাদ্য সহায়তাও প্রদান করা হয়েছে। প্রযুক্তির এই সহজলভ্যতার কারণে সকল ধরনের বিল ও আর্থিক লেনদেন ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে করা সম্ভব হচ্ছে।
শুধু শহরেই নয়, জেলা-উপজেলা সদর ছাড়িয়ে গ্রাম, এমনকি প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলেও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা পৌঁছে দিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। ডিজিটাল বাংলাদেশে নাগরিক সেবা সহজ করতে যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তার ওপর ভিত্তি করে ‘আমার ডিজিটাল বাংলাদেশ : উদ্ভাবনে এটুআই’ এবং ‘কফি টেবিল বুক-দি এটুআই জার্নি’ শীর্ষক দুটি প্রকাশনা প্রকাশ করেছে। এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে দেশ স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত হবে।