হটাও ষড়যন্ত্র, ফেরাও গণতন্ত্র : গয়েশ্বর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, এখন আর ঘরে বসে কেউ প্রোগ্রাম করতে চায় না, আমিও না। কারণ, মানুষ রাস্তায় নেমে গেছে। রাস্তায় যেহেতু মানুষ নেমে গেছে, রাস্তায় যখন ফয়সালা হবে; রাস্তায় নামা ছাড়া যেহেতু বিকল্প পথ নেই, সুতরাং যা করার রাস্তায় করতে হবে। তিনি আরও বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার সব স্বৈরাচারকে হার মানিয়েছে। তাই আমাদের লড়াইটা হচ্ছে আগাগোড়া গণতন্ত্রের।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় গয়েশ্বর এসব কথা বলেন। রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ন্যাশনালিস্ট এক্স স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (রুনেসা) এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
গয়েশ্বর বলেন, ‘গত ৭ ডিসেম্বর বিএনপির কার্যালয়ে যে তাণ্ডব চলানো হয়েছে, তা ’৭১ সালের পাক বাহিনীর বর্বরতাকেও হার মানায়। বিএনপির কার্যালয়ের মধ্যে অসংখ্য টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। এর গ্যাসেই মানুষের মারা যাওয়ার কথা।’
আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সব স্বৈরাচারকে হার মানিয়েছে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার। তাই তাদের স্বৈরাচার বলব, নাকি ফ্যাসিবাদী বলব, নাকি কর্তৃত্ববাদী বলব? কোন ভাষায় বললে তাদের জনগণের সামনে তুলে ধরা যায়, বাংলা অভিধানে বা ইংরেজি ডিকশনারিতে কোনো ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।’
সরকারের সমালোচনা করে গয়েশ্বর বলেন, ‘বলা হয়েছে, মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আনা হয়েছে। তারপর একদিকে গোলাপবাগ মাঠের অনুমোদনপত্র ডা. জাহিদের হাতে হস্তান্তর, আরেকদিকে মামলা এন্ট্রি করে মির্জা ফখরুল ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে। মানে রসিকতার একটি সীমা থাকে, আইনভঙ্গেরও একটি সীমা থাকে, নিয়ম ভঙ্গেরও একটি সীমা থাকে। আর মিথ্যে কথা বললেও অনেক সময় বিশ্বাসযোগ্য বলতে হয়, কিন্তু এই মিথ্যে কথা তো বিশ্বাসযোগ্য নয়।’
‘আমাদের লড়াইটা হচ্ছে আগাগোড়া গণতন্ত্রের’ উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘গণতন্ত্রের লড়াইয়ে আজ যারা ত্যাগ স্বীকার করছে, জেল জুলুমের শিকার হচ্ছে, এগুলো পরিশোধ করার একটাই বিষয়—এই ফ্যাসিবাদের পতন ঘটানো, অর্থাৎ গণতন্ত্রকে পূর্ণ প্রবর্তন করা। একটাই কথা হটাও ষড়যন্ত্র, ফেরাও গণতন্ত্র।’
রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ন্যাশনালিস্ট এক্স স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যক্ষ বাহাউদ্দীন বাহারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মল্লিক মো. মোকাম্মেল কবিরের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি নুরুজ্জামান তপন, সহসভাপতি মমিনুল হক পিন্টু, সংগঠনিক সম্পাদক মতিয়ার রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব আলম ফরহাদ, ইউসুফ আলী মোল্লা, রবিউল আলম মন্টু, মিনহাজ উদ্দিন মানিক, দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম।
এ ছাড়া সংগঠনের হামিদুর রহমান বাবু, শরিফুল ইসলাম শাওন, মুস্তাফিজুর রহমান মনির, জাকির হোসেন বাবু, আশফাক সরকার মনু, কাওসার আলী ও মাসুদ করিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।