হত্যার পর লাশ ফেলা হয় মহাসড়কের পাশে, কথিত প্রেমিকসহ গ্রেপ্তার ২
কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারসংলগ্ন ছোটরা এলাকায় পান্না আক্তার নামের এক নারীকে হত্যার পর মহাসড়কের পাশে লাশ ফেলে দেওয়ার ঘটনায় কথিত প্রেমিকসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। শহরের টমচমব্রিজ এলাকা থেকে গতকাল রোববার রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার দুই আসামি হলেন আবদুল্লাহ আনছারী মুন্না ও দ্বীন ইসলাম দ্বীনু। অন্যদিকে, নিহত পান্না আক্তার কুমিল্লার চান্দিনার বেলাশ্বর এলাকার নজরুল ইসলামের স্ত্রী। তিনি দুই সন্তানের জননী।
পিবিআই-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত ২৪ অক্টোবর কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের উত্তর দেয়াল সংলগ্ন ছোটরা এলাকার একটি ভাড়া বাসায় পান্না আক্তারকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আবদুল্লাহ আনছারী মুন্না এবং দ্বীন ইসলাম দ্বীনুকে গতকাল রোববার রাতে শহরের টমচমব্রিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। এ ঘটনায় নিহত পান্না আক্তারের মা শরীফা বেগম কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় একটি হত্যা মামলা করেছিলেন।
কুমিল্লা পিবিআই-এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মাহফুজ জানান, দুমাস আগে মুন্নার সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে পান্নার। গত ২৩ অক্টোবর রাতে পান্না চান্দিনার বাড়ি ছেড়ে ছোট সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে কুমিল্লায় মুন্নার বাসায় চলে যান। পরে প্রেম ও অর্থনৈতিক বিরোধের জেরে মুন্না তাঁর ছোটরা এলাকার বাসায় পান্না আক্তারকে নিয়ে গিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরপর একটি মাইক্রোবাসে নিয়ে লাশটি মহাসড়কের পাশে ফেলে দেন। পরে ২৫ অক্টোবর মহাসড়কের পাশ থেকে বিছানার চাদর মোড়ানো ও চটের বস্তাবন্দি লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশের ধারণা, গত ২৩ অক্টোবর রাত থেকে ২৪ অক্টোবর দিবাগত রাতের মধ্যে কোনো এক সময় পান্না আক্তারকে হত্যা করা হয়। ক্লুলেস মামলাটিতে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মুন্নাকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।
মুন্নাকে নিয়ে ছোটরায় ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ শেষে কুমিল্লা জেলা পিবিআই-এর পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, এটি একটি ক্লুলেস হত্যা মামলা। তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুন্নার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ভিকটিমের মোবাইল ফোন এবং লাশ ফেলে দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়েছে।