হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা হবে
রাজধানীর ইস্কাটনের ৭০০ শয্যাবিশিষ্ট হলি ফ্যামিলি রেডক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি সরকার সাময়িকভাবে গ্রহণ করে কভিট-১৯ হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করেছে।
আজ রোববার এ হাসপাতালটিতে করোনা চিকিৎসার উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘হলি ফ্যামিলি হাসপাতালটিতে কোভিট-১৯ চিকিৎসা দেওয়ার সব সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে। করোনার এই দুর্যোগে এরকম একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ হাসপাতাল কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে। এই হাসপাতালের মোট ৭০০ বেড থেকে ৫০০ বেড শুধু কভিড-১৯ রোগীদের জন্যই বরাদ্দ করা হয়েছে। এখানে পর্যাপ্ত দক্ষ ও অভিজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও কর্মী রয়েছে। এর পাশাপাশি হাসপাতালটিতে আইসিইউ রয়েছে ১০টি, ভেন্টিলেটর সাতটি, ডায়ালাইসিস মেশিন সাতটিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি রয়েছে।এখানে আলাদা কেবিন রয়েছে ৭৫টিরও বেশি। কভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য যদি আরো কিছু প্রয়োজন হয় সরকার এখানে তা প্রদান করবে।’
করোনার পরীক্ষার টেস্টিং ল্যাব প্রতিষ্ঠা প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, ‘দেশে শুরুতে মাত্র একটি টেস্টিং ল্যাব ছিল। বিদেশ থেকে যখন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সেসময়ে এসে সরকার এখন ৩৫টি টেস্টিং ল্যাব চালু করেছে। প্রতিদিন পাঁচ হাজারের উপরে টেস্ট করা হচ্ছে। খুব দ্রুতই আরো ১৬টি টেস্টিং ল্যাব স্থাপন করা হলে টেস্টিং সংখ্যা দিনে আট থেকে ১০ হাজারে পৌঁছানো সম্ভব হবে। এই হাসপাতালেও খুব দ্রুত অন্তত একটি টেস্টিং ল্যাব স্থাপন করা হবে।’
হাসপাতালটিতে কভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা চালু করতে গত ৭ মে সরকারের স্বাস্থ্য খাতের সঙ্গে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই আজ স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসপাতালটিকে কভিড-১৯ হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করলেন।
প্রথম অবস্থায় এই চুক্তির সময় চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত থাকবে। তবে করোনার প্রকোপ না কমলে চুক্তির মেয়াদ আরো বাড়ানো হতে পারে বলে অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান হাফিজ আহমেদ মজুমদার এমপির সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ট্রেজারার লুৎফর রহমান চৌধুরী হেলাল।