হামলা করে দমিয়ে রাখা যাবে না, বিচলিতও নই : ইশরাক
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী ইশরাক হোসেন বলেছেন, ‘ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার দেখে ওরা ভীত-সস্ত্রন্ত হয়ে পড়েছে। তাই আমাদের গণসংযোগে কাপুরুষের মতো হামলা করছে।’ তিনি এ ন্যক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ‘হামলা-গুলি করে জনগণকে দমিয়ে রাখা যাবে না। আমাদের নেতাকর্মীরা এতে বিন্দুমাত্র বিচলিত নয়।’
আজ রোববার দুপুরে নিজ বাসার নির্বাচনী কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ধানের শীষের এই প্রার্থী বলেন, ‘এ ধরনের হামলার ঘটনা ন্যক্কারজনক। ধানের শীষের পক্ষে যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে তা দেখে তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। ভোটারদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও নির্বাচনকে বানচালের অপচেষ্টায় অংশ হিসেবে এ হামলা হয়েছে। এতে জনগণ বিভ্রান্ত হবে না। আমরা ভোটারদের আহ্বান জানাব, আপনারা অবশ্যই পহেলা ফেব্রুয়ারি নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে যাবেন। অধিকার আদায়ে ঘুরে দাঁড়াতে হবে।’
সংবাদ সম্মলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব আবদুস সালাম, বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, যুব দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, রওনাকুল ইসলাম টিপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কর্মী-সমর্থকদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে ইশরাক বলেন, ‘আপনারা শান্ত থাকুন, বিচলিত হবেন না। এতে জনগণ বিভ্রান্ত হবে না।’
হামলার কারণে প্রচারে কোনো শঙ্কা বোধ করছেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ইশরাক হোসেন বলেন, ‘একদমই না। আমি বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। গুলির শব্দে আমি ভয় পাই না। জনগণের অধিকারের লড়াইয়ে আমি জীবন দিতে প্রস্তুত, রক্ত ঝরাতে প্রস্তুত। মরতে হলে মরব, তবুও কোনো সন্ত্রাসীর কাছে মাঠ ছেড়ে দেব না।’
হামলার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বিএনপির প্রার্থী বলেন, ‘আমরা মতিঝিল এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে গণসংযোগ করে ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের মহিলা কমিশনার লাভলী চৌধুরী ক্যাম্পের সামনে দিয়ে বাসায় ফিরছিলাম। আকস্মিকভাবে আমাদের উপর হামলা চালানো হয়। হামলায় তিনজন সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। নয়াদিগন্তের সাংবাদিক ইকবাল মজুমদার (তৌহিদ), সময় টিভির ক্যামেরাম্যান আশরাফুল ইসলাম ও বাংলাভিশনের সিনিয়র ক্যামেরাপারসন উজ্জ্বল দাস আহত হয়েছেন। আমার উপরে হামলার আশঙ্কা ছিল। কিন্তু আমার নেতাকর্মীরা আমাকে সুরক্ষা দিয়েছে। ’
‘ওখান থেকে যখন চলে আসি তখন কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়া হয়। আমি নিজে গুলির শব্দ শুনতে পাই।’
নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চাইলে ইশরাক হোসেন বলেন, আমাদের কর্মী-সমর্থকদের ওপর যখনই কোনো হামলা হয়েছে তখনই সেই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। কিন্তু তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আমি নিজেই একজন কমিশনার প্রার্থীকে গিয়ে দেখে এসেছি। তাঁর মাথা থেকে রক্ত পড়ছে। কিন্তু থানা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। আর কী বলব! আপনারা তো জানেন বাংলাদেশে এখন কী চলছে!
মামলা করবেন কি না, জানতে চাইলে বিএনপির প্রার্থী বলেন, ‘অবশ্যই আমি মামলা করব। কারণ আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমাদের এতগুলো মানুষ আহত হয়েছেন, গণমাধ্যমের ভাইয়েরা আহত হয়েছেন। মামলা তো করবই।’