হারিছ চৌধুরীর মৃত্যুর খবর জানতে সিআইডিকে ইন্টারপোলের চিঠি
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী সত্যিই মারা গেছেন কি না তা জানতে চেয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) চিঠি দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল)। চিঠির আলোকে এরই মধ্যে খোঁজখবর নিতে হারিছের স্থায়ী ও অস্থায়ী ঠিকানায় খোঁজখবর নিতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছৈ। সব তথ্যের ভিত্তিতে ইন্টারপোলকে জানাবে সিআইডি।
সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে তাঁর মৃত্যু নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। জানা গেছে, এই সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত হতে চিঠি পাঠিয়েছে ইন্টারপোল।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান এনটিভি অনলাইনকে জানান, বাংলাদেশে এনসিবি সাধারণত ইন্টারপোলের সব মামলা দেখভাল করে। সেখান থেকে আমরা একটি চিঠি পেয়েছি। চিঠির আলোকে হারিছ চৌধুরীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হতে তাঁর স্থায়ী ঠিকানা সিলেটের পুলিশ সুপারকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে এরই মধ্যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ঢাকায় তাঁর দুটি অস্থায়ী ঠিকানাতেও খোঁজখবর নিতে সংশ্লিষ্ট পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব ঠিকানা থেকে বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার পর ইন্টারপোলকে জানাবে সিআইডি।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে হারিছ চৌধুরীর বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করে ইন্টারপোল। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেনেড হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। তবে রেড নোটিশ জারির আগে থেকেই লাপাত্তা ছিলেন তিনি। মৃত্যুর সংবাদ সঠিক হলে তাঁর বিরুদ্ধে জারি হওয়া রেড নোটিশ প্রত্যাহার করবে ইন্টারপোল। এ জন্যই সিআইডির কাছে প্রমাণ চাওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হয়, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী যুক্তরাজ্যে প্রায় সাড়ে তিন মাস আগে মারা গেছেন। এমনটি দাবি করেছেন তাঁর চাচাতো ভাই আশিক উদ্দিন চৌধুরী।
হারিছ চৌধুরীর চাচাতো ভাই সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাঁর আইডি থেকে স্ট্যাটাস দিলে বিষয়টি জানাজানি হয়। তিনি তাঁর ফেসবুক আইডিতে লেখেন, ‘ভাই বড় ধন, রক্তের বাঁধন।’ এরপর থেকে বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাসহ অনেকে মন্তব্যের ঘরে হারিছ চৌধুরীর মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন।