হাসপাতালে পোড়া শরীর নিয়ে নিখোঁজ ছেলের সন্ধান চাচ্ছেন বাবা
সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন বাঁশখালী উপজেলার শেখেরখীল ইউনিয়নের বাসিন্দা জাকির হোসেন (৪৮)। একই দুর্ঘটনায় ৩৬ ঘণ্টা ধরে নিখোঁজ রয়েছেন জাকিরের ছেলে শহিদুল ইসলাম। তাঁর সন্ধানে চমেক হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ছুটে বেড়াচ্ছেন মামা আবদুস শুক্কুর।
জানা গেছে, সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন জাকির হোসেন। তাঁর ছেলে শহিদুল ইসলাম ছিলেন অফিসের পিয়ন। অগ্নিকাণ্ডের পর বিস্ফোরণে জাকির হোসেন আহত হলে তাঁকে উদ্ধারকর্মীরা চমেক হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু, ছেলে শহিদুল ইসলাম কোথায় আছেন, কেমন আছেন অথবা বেঁচে আছেন কিনা, এমন কোনো তথ্য জানা নেই জাকির হোসেনের।
শহিদুলের মামা আবদুস শুক্কুর বলেন, ‘আমার ভগ্নিপতি চমেক হাসপাতালের ২০ নম্বর ওয়ার্ডে পোড়া শরীর নিয়ে কাতরাচ্ছেন, আর বারবার জিজ্ঞেস করছেন, তাঁর ছেলে শহিদুল কোথায়। আমার ভগ্নিপতিকে আমি কোনো উত্তর দিতে পারিনি। তাই, আমার ভাগনে কোথায় আছে, কোনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কি না, সেটি জানার জন্য ছোটাছুটি করছি।’
এদিকে, চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সংলগ্ন মাঠে দেখা যায়, নিখোঁজ স্বজনের সন্ধানে অনেক মানুষ ছুটে এসেছেন। তারা সবাই প্রশাসনের দ্বারস্থ হচ্ছেন নিখোঁজদের সন্ধান পাওয়ার জন্য।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম রশিদুল হক বলেন, ‘বিএম কনটেইনার ডিপোতে আহত-নিহতরা কোথায় কীভাবে আছে, সেটি আমরা জানার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি চিকিৎসার ব্যবস্থা করছি। আশা করি নিখোঁজ সবার সন্ধান পাওয়া যাবে।’