১০ প্রশ্নপত্র ফাঁসকারীর বিরুদ্ধে দুই মামলা
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2022/01/25/arrest.jpg)
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত প্রতিরক্ষা মহাহিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয়ে অডিটর নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। গত শুক্রবার রাজধানীর মিরপুর, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল ও কাকরাইল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাফরুল থানার মামলায় চারজন ও রমনা থানায় করা মামলায় ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুই থানা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ডিএমপির গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের উপপরিদর্শক (এসআই, নিরস্ত্র) মো. আ. হান্নান বাদী হয়ে গতকাল সোমবার রাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় নং-৩১। এ মামলার চার আসামি হলেন- নাইমুর রহমান তানজির (১৯), শহিউল্লাহ (২৬), ফারুক ও রায়হান।’
মামলায় অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ও মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে নিয়োগ প্রার্থীদের পরীক্ষার হলে অবৈধভাবে এবং অর্থের বিনিময়ে প্রশ্নের উত্তর সরবরাহ করে পরীক্ষা পদ্ধতিতে অনিয়ম, দুর্নীতি ও রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের সঙ্গে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের হুবহু মিল পাওয়া গেছে।
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল সোমবার রাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুর রহমান। মামলা নং-২১। এই মামলার ছয় আসামি হলেন আল আমিন আজাদ রনি (৩০), রাকিবুল হাসান (২৬), হাসিবুল হাসান (২৪), নাহিদ হাসান (২৬), মাহবুবা নাসরিন রুপা (৩১) ও রাজু আহমেদ (২৪)।
গত শুক্রবার বিকেলে অনুষ্ঠিত প্রতিরক্ষা মহাহিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয়ে অডিটর নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটে। পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে ডিভাইসের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র বাইরে পাঠানো হয়েছিল। বাইরে থেকে সেই ফাঁস করা প্রশ্নের উত্তর আবার পাঠানো হয় পরীক্ষাকেন্দ্রে নির্ধারিত পরীক্ষার্থীদের কাছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে একজন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও সংস্থাটির একজন বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় জড়িত চক্রের সাত সদস্য ও তিন পরীক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জানিয়েছিল পুলিশ।