১৭ জেএমবি সদস্য কারাগারে
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার ১৭ জেএমবি সদস্যকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামান আনছারী এই আদেশ দেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) নিজাম উদ্দিন জানান, আজ আসামিদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক বাবু কুমার সাহা কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক এই আদেশ দেন।
জিআরও জানান, কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন- হায়দার আলী (৪৪), মাহমুদুল হাসান ওরফে মাসুম, জামিরুল ইসলাম (২৪), বিল্লাল হোসেন (৩৮), শেখ আরাফাত ওরফে জনি (৪৮), ইমরুল হাসান ওরফে ইমন (২৫), সাইফুল ইসলাম (২৫), মোজাম্মেল হক (৩৩), শাহজালাল (৩৪), আক্তারুজ্জামান (৩০), মাহমুদুল হাসান ওরফে সাব্বির (২৩), আবিদ উল মাহমুদ ওরফে আবিদ (২২), সোহাইল সরদার (৩৩), ওবায়দুল ইসলাম ওরফে সুমন (৩০), মাহমুদ হাসান ওরফে শরীফ (১৮), মাজেদুল ইসলাম ওরফে মুকুল ( ২৮) ও সোহাগ হাসান (২০)।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় কাকরাইল মসজিদের বিপরীত পাশে পাবলিক হেলথ্ কার্যালয়ের সামনে থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের ১৯টি মোবাইল ফোন, দুই লাখ ৩৪ হাজার বাংলাদেশি টাকা ও ৯২২ আমেরিকান ডলার জব্দ করা হয়।
কারাগারে পাঠানার আবেদনে বলা হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা পুলিশকে জানায়, ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ মোস্তাক দিন আরমান ২০১৭ সালে সৌদি আরব যান। সেখানে তিনি ইমাম মাহাদির সৈনিক হিসেবে সশস্ত্র জিহাদে যোগদান করেন। ভিডিওবার্তাও প্রকাশ করেন। ওই বক্তব্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে সৈনিক হিসেবে যুদ্ধে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন তারা। এ জন্য সৈয়দ মোস্তাকের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করেন।
আসামিদের গ্রেপ্তারের পর তাঁদের বিরুদ্ধে রমনা থানায় সন্ত্রাসবিরোধ আইনে মামলা দায়ের করেন সিটিটিসির পুলিশ পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম।