২০০০ আইসোলেশন বেড হবে বসুন্ধরা কনভেনশনে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনাভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে অন্তত দুই হাজার আইসোলেশন বেড করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যেই সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়ে কাজ শুরু হয়ে যাবে।
আজ বৃহস্পতিবার নিজ বাসা থেকে ভিডিও কলে সরাসরি করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশকালে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি।
পাশাপাশি রাজধানীর নর্থ সিটি সেন্টারে এক হাজার ৪০০ বেড এবং উত্তরার দিয়াবাড়ির পূর্ব নির্ধারিত চারটি বিল্ডিংয়ে আরো এক হাজার ২০০ বেডের আইসোলেশন সেন্টার করার কথাও বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
আইসিইউ ও ভেন্টিলেটর এক জিনিস নয় এবং এ ব্যাপারে মানুষের মনে কিছুটা বিভ্রান্তি রয়েছে উল্লেখ করে জাহিদ মালেক আরো বলেন, ‘দেশে সাড়ে পাঁচশর ওপরে ভেন্টিলেটর রয়েছে। পাশাপাশি আরো ৩৮০টি নতুন ভেন্টিলেটর আনা হচ্ছে। আইসিইউ আর ভেন্টিলেটর এক জিনিস নয়। একটি আইসিইউ ইউনিটে একাধিক ভেন্টিলেটর থাকতে পারে।’
দেশে বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারিভাবে মোট এক হাজার ২৫৭টি আইসিইউ ইউনিট রয়েছে। যার মধ্যে সরকারি ৫২০টি এবং বেসরকারি ৭৩৭টি। এগুলোর মধ্যে ঢাকায় আছে ৯২৬টি এবং ঢাকার বাইরে রয়েছে ৩৪১টি। এগুলোর মধ্যে শুধু করোনার জন্য ডেডিকেটেড আইসিইউ প্রস্তুত রাখা আছে ১০০-১৫০টি। তবে, করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পেলে অন্যান্য আইসিইউ করোনা মোকাবিলায় সংযুক্ত করা যাবে।
অন্যদিকে দেশে জেলা ও উপজেলা সরকারি হাসপাতালগুলোর মোট ৬৫৪টি কেন্দ্রে বর্তমানে মোট শয্যাসংখ্যা রয়েছে ৫১ হাজার ৩১৬টি এবং বেসরকারি হাসপাতালের মোট পাঁচ হাজার ৫৫টি কেন্দ্রে ৯০ হাজার ৫৮৭টি শয্যা রয়েছে। এদের মধ্য থেকে দেশব্যাপী ছয় হাজার ৬৯৩টি বেড শুধু করোনার জন্যই আলাদাভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
অনলাইন ব্রিফিংকালে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম এ মুহিত খান জানান, তাদের অ্যাসোসিয়েশনের আওতায় থাকা ৬৯টি হাসপাতাল থেকে প্রয়োজন হলে যেকোনো হাসপাতাল সরকার চাইলে করোনার জন্য ডেডিকেটেড করা হবে। এখন থেকে এই অ্যাসোসিয়েশনের আওতাধীন হাসপাতালগুলো ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে এবং দেশের মানুষের সেবা প্রদান করবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অনলাইন ভিডিও প্রেস ব্রিফিংকালে আরো উপস্থিত ছিলেন ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান,স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা ও আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।