৩০ লাখ টাকার লোভে শিশুকে হত্যার অনুমতি দেয় পরিবার : সিআইডি
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) সোমবার জানিয়েছে, ২০১৫ সালে নরসিংদী সদর উপজেলায় ১১ বছর বয়সী এক শিশুর বাবা-মা ও স্বজনরা পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তাকে গলা কেটে হত্যা করে।
নিহত ইলমা বেগম (১১) ছয় ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট।
সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে উপমহাপরিদর্শক ইমতিয়াজ আহমেদ প্রতিপক্ষকে ফাঁদে ফেলার উদ্দেশে ৩০ লাখ টাকার বিনিময়ে এই ভয়াবহ শিশু হত্যার কথা জানান।
আসামিদের একজনের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে আহমেদ বলেন, এলাকায় মো. শাহজাহান ভূঁইয়া ও বাচ্চু মিয়ার নেতৃত্বে দুটি গ্রুপের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল।
২০১৫ সালের ১ মার্চ শাহজাহানের বাড়িতে তার প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর পরিকল্পনার জন্য একটি বৈঠক হয়। যেখানে শাহজাহান ইলমার বাবা মোতালেবকে তাঁর কনিষ্ঠ কন্যাকে হত্যার জন্য ৩০ লাখ টাকা অফার করেন।
অর্থের লোভে মোতালেব, তাঁর স্ত্রী মঙ্গোলি বেগম এবং আত্মীয়স্বজনরা শিশুটিকে হত্যা করার জন্য রাজি হন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০১৫ সালের ২৭ মার্চ, ইলমা স্থানীয় একটি দোকান থেকে বাড়ি ফিরছিল, এ সময় ইলমার দুলাভাই বাবলু ও ফুপাতো ভাই মাসুমের নেতৃত্বে সাতজনের একটি দল তাকে মাথায় আঘাত করে।
তারা ইলমাকে ইট দিয়ে আঘাত করে তার মুখটি ছিন্নভিন্ন করে এবং গলা কেটে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। তবে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, মোতালেবকে ৩০ লাখ টাকা দেওয়া হয়নি বলে সিআইডি জানায়।
হত্যার পর পলাতক থাকা মাসুমকে গ্রেপ্তারের পর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে সিআইডি এ তথ্য প্রকাশ করে।