৪ দিনে করোনা রোগী বাড়ল ১১৩২, আক্রান্ত এখন ২১৪৪
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ৩৮ দিনের মাথায় গত ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের দিন বাংলাদেশে করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা এক হাজারের ঘরে প্রবেশ করে। সেদিন মোট এক হাজার ১২ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এর ঠিক চার দিন পর আজ ১৮ এপ্রিল শনিবার আরো এক হাজার ১৩২ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর ফলে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন দুই হাজারের ঘরে প্রবেশ করে দুই হাজার ১৪৪ জন হয়েছে। অর্থাৎ যত দিন যাচ্ছে করোনায় আক্রান্ত রোগীর হার ততই বাড়ছে। সেইসঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও।
করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরো নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ৮৪ জনের মৃত্যু হলো। গত ১৪ এপ্রিল মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৪৬ জন ছিল। এর ঠিক চার দিন পর মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে আরো ৩৮ জন।
এ ছাড়া আজ নতুন করে আরো ৩০৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। আজ শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে এ কথা জানান সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
ব্রিফিংয়ে অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নয়জন মৃত্যুবরণ করেছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮৪ জন হয়েছে। মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৬০ বছরের বেশি বয়সী চারজন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী একজন , ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী দুজন ও ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী একজন । বাকি একজনের তথ্য পাওয়া যায়নি। মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে রাজধানী ঢাকায় ছয়জন, নারায়ণগঞ্জে দুজন ও ঢাকার সাভারে একজন রয়েছে।
আইইডিসিআরের পরিচালক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ১৯০ জনের করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩০৬ করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি পাওয়া গেছে। এ নিয়ে দুই হাজার ১৪৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলো। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে ৫৬৪ জন। বাকিরা হোম আইসোলেশনে আছে। এ ছাড়া দেশে মোট ২০ হাজার ৩৮৩ জনের করোনাভাইরাসের পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।
মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, নতুন করে সুস্থ হয়েছে আটজন । এ নিয়ে মোট ৬৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হলো। আক্রান্তদের মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ২৭ ভাগ রোগী, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২২ ভাগ রোগী ও ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৯ ভাগ রোগী রয়েছে।