৫ ভাগ পুলিশ ধরে নিয়েছে দুর্নীতি করলে কিছু হবে না : হাইকোর্ট
‘দেশের পাঁচ শতাংশ পুলিশ ধরেই নিয়েছে দুর্নীতি করলে তাদের কিছু হবে না। এরা অন্যায়ভাবে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। এসব পুলিশের অন্যায়, অপকর্ম ও দুর্নীতির জন্য গোটা পুলিশ বাহিনীর অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে।’
আজ সোমবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ পুলিশের এক সদস্যের বিরুদ্ধে দায়ের করা রিটের শুনানি শেষে এই মন্তব্য করেন।
পরে আদালত রাজধানীর উত্তর পূর্ব থানার সহকারী উপ-পরিদশর্ক (এএসআই) মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না- এই মর্মে রুল জারি করেন।
আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজি) রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট আবুল কালাম ও ইসমাইল হোসেন ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ২৭ জুন রাতে মতিঝিল শাখার সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার ইব্রাহিম খলিল তাঁর এক নারী সহকর্মীর সঙ্গে উত্তরার ভূতের আড্ডা রেস্টুরেন্ট থেকে রাতের খাবার শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে তাঁকে আটক করে পুলিশ উত্তরা পূর্ব থানার এএসআই মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তাঁকে শারিরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। পরে এএসআই মোস্তাফিজ ব্যাংকার ইব্রাহিমের কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। ইব্রাহিম ছয় হাজার টাকা দিয়ে ছাড়া পান। তবে পরবর্তী সময়ে তাঁকে বাকি ১৪ হাজার টাকা পরিশোধ করতে বলে জানিয়ে দেন ওই এএসআই।
আহত ইব্রাহিম কুর্মিটোলা হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেন। এর কিছুদিন পর পুলিশের এএসআই ব্যাংকার ইব্রাহিমের নারী কলিগকে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করতে বলেন এবং দেখা করলে অবশিষ্ট ১৪ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হবে না বলেও জানান।
এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ডিএমপি কমিশনার ও পুলিশের আইজি বরাবর অভিযোগ করেন ইব্রাহিম। একইসঙ্গে নারী কলিগের সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তার কল রেকর্ডিং, মেডিকেল সার্টিফিকেটও দাখিল করা হয়।
কিন্তু এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় গত ২৫ জুলাই ইব্রাহিম হাইকোর্টে একটি রিট করেন। ওই রিটের শুনানি শেষে আদালত জড়িত পুলিশ সদ্যসের বিরুদ্ধে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।