৬০০ টাকা নিয়ে বিবাদ, মাদ্রাসাছাত্রকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা
মোবাইল ফোন কেনা বাবদ ৬০০ টাকা নিয়ে বিবাদ। এরই জের ধরে বরিশালের বাবুগঞ্জে এক মাদ্রাসাছাত্রকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। মো. মাহফুজ ঢালী (১৩) নামের ওই ছাত্রের শরীরের ২৩ শতাংশ পুড়ে গেছে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। আজ রোববার উন্নত চিকিৎসার জন্য মাহফুজকে ঢাকায় আনা হয়।
মাহফুজ চাঁদপাশা এলাকার কাশেম ঢালীর ছেলে এবং স্থানীয় বকশীর চর দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
গুরুতর অবস্থায় মাহফুজকে বরিশালে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য মাহফুজকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
মাহফুজের স্বজনরা জানায়, মোবাইল ফোন কেনা বাবদ ৬০০ টাকা নিয়ে বিবাদের জের ধরে ঘটে ওই ঘটনা। মাহফুজ স্থানীয় একটি দোকানে বসা ছিল। এ সময় তার বন্ধু বাপ্পী তাকে ডেকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছিল তামিম নামের একজন। কথাবার্তার একপর্যায়ে মাহফুজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। মাহফুজের চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন তার পরিবারে খবর জানায়। তাঁরা পৌঁছানোর আগেই মাহফুজের শরীরের একাংশ পুড়ে যায়। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে মাহফুজের স্বজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারী বিভাগের প্রধান ডা. এম এ আজাদ জানান, মাহফুজের শরীরের ২৩ ভাগ পুড়ে গেছে। একই সাথে পুড়েছে তার শ্বাসনালীর অংশ বিশেষ। এ অবস্থায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বরিশাল মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান।