৭ মার্চের ভাষণ : ‘ভুল’ খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠনের নির্দেশ
সংবিধানে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ভুলভাবে সন্নিবেশিত হয়েছে কি না তা যাছাই করতে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ৭ মার্চের ভাষণের সময় উপস্থিত থাকা বিশিষ্টজনদের এ কমিটিতে রাখতে বলা হয়েছে।
আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে এ কমিটি গঠন করে আইন সচিবকে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া, সংবিধানের পঞ্চম তফসিলে থাকা ভাষণের সঙ্গে এ সংক্রান্ত সব অডিও-ভিডিও পর্যালোচনা করে একটি প্রতিবেদনও আদালতে দাখিল করতে হবে।
সংবিধানে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের সঠিক ভাষণ কেন অন্তর্ভুক্ত করা হবে না তা জানতে চেয়ে চার সপ্তাহের রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে সংবিধানে ৭ মার্চের ভাষণের সঠিকতা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য কমিটি গঠনের পক্ষে মতামত দেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস।
এর আগে গত ৫ মার্চ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস এ রিট দায়ের করেন। রাজবাড়ীর রায়নগর গ্রামের কাশেদ আলীর পক্ষে তিনি এ রিট করা হয়।
রিট আবেদনে সংবিধানে থাকা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ভুলটি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়। পাশাপাশি সংবিধানে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের পূর্ণাঙ্গ ভাষণটি বাংলা এবং ইংরেজিতে অন্তর্ভুক্তি চাওয়া হয়।
রিটে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।