বিমানবাহিনীতে নতুন তিন বিমান
বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর জন্য চেক প্রজাতন্ত্র থেকে তিনটি এল-ফোর ওয়ান জিরো পরিবহন বিমান কিনেছে সরকার। আজ বুধবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসের বিমানবাহিনীর ঘাঁটি বাশারে দুটি বিমান হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
urgentPhoto
১৯ জন যাত্রী বহনে সক্ষম বিমানগুলো প্রতিকূল আবহাওয়ায়ও উড়তে পারবে। বাকি বিমানটি আগামী মাসে দেশে পৌঁছাবে।
এর আগে যেসব পরিবহন বিমান দিয়ে বৈমানিকরা প্রশিক্ষণ নিতেন তা অনেক ব্যয়বহুল ছিল। নতুন এই বিমান অন্তর্ভুক্তির ফলে প্রশিক্ষণ ব্যয় অনেক কমে যাবে বলেও জানানো হয় বিমানবাহিনী থেকে।
বিমান হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সশস্ত্র বাহিনীকে আরো আধুনিকায়নের মাধ্যমে কৌশলগত দিক থেকে সুদৃঢ়, শক্তিশালী ও কার্যকর বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এ সময় তিনি জনগণের কষ্টার্জিত টাকায় কেনা দেশের এসব মূল্যবান সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণে আরো যত্নবান হতে বিমানবাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের রয়েছে প্রশিক্ষণ ও অবকাঠামোগত সুদৃঢ় ভিত্তি। মান ও দক্ষতায়ও আমরা আজ আর পিছিয়ে নেই। আমি আপনাদের ওপর পূর্ণ আস্থাশীল। তাই সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা ও দেশপ্রেমের মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়ে আপনার প্রশিক্ষণ অনুশীলনে মনোনিবেশ করতে হবে।’ বিমানবাহিনীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সময়ে আপনারা হয়ে উঠুন আকাশসীমার অতন্দ্র প্রহরী। আর প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় জনগণের একান্ত বন্ধু।’
অনুষ্ঠানে বিমানবাহিনীর আধুনিকায়নে বর্তমান সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। সমুদ্রসীমার নিরাপত্তায় কক্সবাজারে নতুন বিমানঘাঁটি স্থাপন করার কথাও জানান তিনি। বর্তমান সরকার সব সময়ই বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সদস্যদের কল্যাণ ও এই বাহিনীর উন্নয়নকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নয়নের এই ধারা সব সময় অব্যাহত থাকবে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমরা বিমানবাহিনীকে আরো আধুনিকায়নের মাধ্যমে কৌশলগত দিক থেকে একটি সুদৃঢ়, শক্তিশালী ও কার্যকর বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হব।’
ভূমিকম্প-দুর্গত নেপালে ত্রাণ কার্যক্রমে দ্রুত অংশ নেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য বিমানবাহিনীকে ধন্যবাদ দেন প্রধানমন্ত্রী।