প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহরে ব্যক্তিগত গাড়ি, জামিন শুনানিতে বাবার কান্না
প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহরে ব্যক্তিগত গাড়ি ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগে আটক আসামি শেখ শাহরিয়ার করিমের জামিন শুনানির সময় তাঁর বাবা অ্যাডভোকেট শেখ রেজাউল করিম বিচারকের সামনে কেঁদে জামিন চাইলেন।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম মো. আহসান হাবীবের খাসকামরায় এ ঘটনা ঘটে।
শেখ শাহরিয়ার করিমসহ তিন আসামিকে একদিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মর্কতা।
আসামিদের পক্ষে তাঁদের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
আদালত আগামী ১ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেছেন এবং আসামিদের কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন।
বিচারকের খাস কামরায় জামিন শুনানির সময় আসামি শাহরিয়ার করিমের বাবা রেজাউল করিম নিজ জিম্মায় সন্তানের জামিন চান। পরে অপর এক আইনজীবী বিচারকের উদ্দেশে বলেন, 'স্যার, আসামি শেখ রেজাউল করিমের বাবা কাঁদছেন। জামিন দিলে পলাতক হবে না।'
এ ছাড়া বাকি আসামিদের পক্ষে ঢাকা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিএনপি সমর্থক আইনজীবী ইকবাল হোসেন জামিনের শুনানি করেন। তিনি শুনানি করে বলেন, মামলায় সব কয়েকটি জামিনযোগ্য ধারা। আসামিরা না বুঝে ভুল করে গাড়ি নিয়ে গিয়েছেন। যেকোনো শর্তে জামিন দিলে আসামিরা পলাতক হবেন না।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা মো. মকবুলুর রহমান।
গত মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী তিন আসামিকে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওই দিনও তাঁদের জামিন শুনানির সময় আসামি শেখ শাহরিয়ার করিমের বাবা শেখ রেজাউল করিম জামিন চেয়ে শুনানি করেন।
আসামিদের রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, গত ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় ধানমণ্ডির সুধাসদন থেকে ভিভিআইপি মহোদয় (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) গাড়িবহর নিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীসহ গুলশানের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এরপর ধানমণ্ডি থানাধীন ৮ নম্বর রোডে মডার্ন হাসপাতালের সামনে গেলে হঠাৎ করে একটি প্রাইভেটকার গাড়িবহরের মধ্যে ঢুকে যায়, যা মুঈদ আহমেদ চালাচ্ছিলেন। গাড়ি নম্বর- ঢাকা মেট্রো-গ ৩১-১৮৪০। তখন নিরাপত্তাবাহিনী তাঁদের গ্রেপ্তার করে থানায় সোপর্দ করে। পরে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁরা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
আবেদনে আরো বলা হয়, দেশের একজন ভিভিআইপির নিরাপত্তাবেষ্টনি ছেদ করে তাঁদের আসাটা স্পর্শকাতর ও সন্দেহজনক।