প্রতিশোধ নিতে শিশুকে খুন
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/05/28/photo-1432831100.jpg)
‘আমার তারেক কী অপরাধ করেছিল? কেন ওকে হত্যা করা হলো? আমি হত্যাকারীর বিচার চাই।’ দীর্ঘ নীরবতা ভেঙে বলেন চার বছরের শিশু তারেকের মা জান্নাত বেগম। শিশু তারেককে হারিয়ে মা জান্নাত বেগম এখন প্রায় নির্বাক।
চোখ দিয়ে কেবলই পানি পড়ছে। একটু পর পর ছুটে যাচ্ছেন ঘরে টানানো শিশু তারেকের ছবির দিকে।
গত ২৪ এপ্রিল শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার জয়ালু গ্রামে চার বছরের শিশু তারেককে হত্যা করা হয়। ঘটনায় জড়িত থাকার কথা আদালতে স্বীকার করেছেন পারভেজ বিশ্বাস (১৮)। জান্নাত বেগমের সঙ্গে ঝগড়ার জের ধরেই শিশু তারেককে হত্যা করেছেন বলে আদালতকে জানিয়েছেন পারভেজ।
প্রতিশোধে প্রাণ গেল শিশুর
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আলমগীর শিকদার বলেন, ‘গত সোমবার শরীয়তপুর জেলা আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে পারভেজ জানান, তিনি গত ২৩ এপ্রিল পুকুরে মাছ ধরার জন্য বোলতার বাসা ভাঙতে যান। এ সময় বোলতা উড়ে এসে একই বাড়ির জান্নাত বেগম ও তারেকের ছয় মাস বয়সী ভাই আরাফাতকে কামড় দেয়। এরপর নিহত তারেকের মা পারভেজকে গালিগালাজ করেন। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে পারভেজ গত রোববার সকালে শিশু তারেককে গলা টিপে হত্যা করে। পরে একটি কাপড় জড়িয়ে তারেকের মৃতদেহ ঘরের চৌকির নিচে রেখে দেয়।’
মো. আলমগীর শিকদার আরো জানান, আদালতের নির্দেশে পারভেজ বিশ্বাসকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফ মো. আশরাফুল আমীন জানান, তারেকের বাবা ফারেক আলী হাওলাদার একজন ভ্যানচালক। গত রোববার সকাল ১০টার দিকে বাড়ির পাশে অন্য শিশুদের সাথে খেলছিল তারেক।
সব শিশু ঘরে ফিরলেও তারেক ঘরে ফিরে যায়নি। পরে দুপুর ১টার দিকে তারেককে খুঁজতে বের হয় বাড়ির লোকজন। একপর্যায়ে পাশের বাড়ির একটি খালি ঘরে তারেকের লাশ দেখতে পায় স্বজনরা। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গত রোববারই পারভেজকে আটক করে পুলিশ।