সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা চাইল আওয়ামী লীগ
সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্বাচনের সময়ে নির্বাহী বিভাগের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা সংস্থার দায়িত্বশীলতা ও নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীল ও নিরপেক্ষ আচরণ চায় আওয়ামী লীগ। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এ ধরনের ১১টি সুপারিশ দিয়েছে দলটি।
নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে আজ রোববার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে বৈঠক করে আওয়ামী লীগ। এ বৈঠকে সুপারিশগুলো পেশ করেছে দলটি।
১৯ সদস্যের আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠকের পর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন সুপারিশের পাশাপাশি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ‘অতীব গুরুত্বপূর্ণ’ বিষয়গুলো তুলে ধরেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
১. একটি স্বাধীন ও কার্যকর নির্বাচন কমিশন।
২. নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাহী বিভাগের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/সংস্থার দায়িত্বশীলতা।
৩. নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও এর মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্বশীল ও নিরপেক্ষ আচরণ।
৪. ছবিযুক্ত একটি নির্ভুল ভোটার তালিকা এবং ভোটগ্রহণের দিন নির্বাচন কেন্দ্রের সার্বিক নিরাপত্তা।
৫. নির্বাচন পরিচালনায় বেসরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিবর্তে কেবলমাত্র প্রজাতন্ত্রের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রিসাইডিং অফিসার থেকে পোলিং অফিসার পদে নিয়োগ করা।
৬. আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত সদস্যদের নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল আচরণ।
৭. দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক থেকে শুরু করে মিডিয়া ও সিভিল সোসাইটির সদস্যদের নির্মোহ তৎপরতা।
৮. নির্বাচনে পেশিশক্তি ও অর্থের প্রয়োগ বন্ধ এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ সকল পর্যায়ের ভোটারের অবাধ ভোটদানের সুযোগ নিশ্চিত করা।
৯. নির্বাচনের পূর্বে ও পরে এবং নির্বাচনের দিন ভোটারসহ সর্বসাধারণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
১০. নির্বাচনকালীন প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ নির্বাচন পরিচালনার জন্য আবশ্যকীয় সকল সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে ন্যস্ত করা।
১১. নির্বাচনকালীন সরকারের কর্মপরিধি কেবলমাত্র আবশ্যকীয় দৈনন্দিন কার্যাবলির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা।