পুলিশের গুলিতে আহত ‘ডাকাত’ মারা গেছেন
পঞ্চগড়ে হাইওয়ে পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ একাধিক ডাকাতি মামলার আসামি দেলোয়ার হোসেন মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
পঞ্চগড়ের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি)মো. কফিলউদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
মৃত দেলোয়ার হোসেনের বাড়ি জেলার পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নের মাগুরমারী এলাকায়।
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি দুপুরে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার মাগুরমারী চৌরাস্তা এলাকায় ভজনপুর হাইওয়ে পুলিশের গুলিতে দেলোয়ার গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। ওই দিন প্রথমে তাঁকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ভজনপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক বলেন, ঘটনার দিনই তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে বলে তিনি জানান।
এদিকে, যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বর্তমান দেলোয়ারের নিজ এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পঞ্চগড়ের এএসপি মো. কফিলউদ্দিন জানান, দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে তেঁতুলিয়া ও পঞ্চগড় থানায় ডাকাতি, ছিনতাই,মারামারিসহ বিভিন্ন অপরাধে ১৭টি মামলা রয়েছে।
পুলিশের দাবি,গত ২৩ জানুয়ারি দুপুরে ভজনপুর হাইওয়ে পুলিশ মাগুরমারী চৌরাস্তা এলাকায় গাড়ি তল্লাশি করছিল। পাশেই দেলোয়ার হোসেনের বাড়ি। এ সময় দেলোয়ার তাঁর বাড়ি থেকে বের হয়ে মোটরবাইকে করে যাচ্ছিলেন। হাইওয়ে পুলিশ তাঁর গাড়ি থামায়। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তাঁর কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দেলোয়ার তাঁর ভাইদের সহযোগিতায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হাইওয়ে পুলিশের ওপর হামলা করেন। পুলিশ বাধা দিলে দেলোয়ার হোসেনের লোকজন পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। তখন পুলিশও গুলি ছোড়ে। এ সময় একটি গুলি দেলোয়ারের পেটের বাম পাশে লাগে।