নারায়ণগঞ্জের ৫ গুণী শিল্পীকে সম্মাননা
নারায়ণগঞ্জের পাঁচ গুণী শিল্পীকে সম্মাননা জানিয়েছে জেলা শিল্পকলা একাডেমি। গতকাল শুক্রবার তাঁদের হাতে পদক, সম্মাননাপত্র ও চেক তুলে দেন জেলা প্রশাসক আনিছুর রহমান মিঞাসহ উপস্থিত অতিথিরা।
একই দিন রবীন্দ্র ও নজরুলজয়ন্তী উদযাপন করেছে জেলা প্রশাসন ও জেলা শিল্পকলা একাডেমি।
এ উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে জেলা সার্কিট হাউস চত্বরে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে নারায়ণগঞ্জের পাঁচজন গুণী শিল্পীকে সম্মাননা জানানো হয়। সম্মাননা পাওয়া গুণী শিল্পীরা হলেন কণ্ঠসংগীতে মোহাম্মদ আবু তাহের, যন্ত্রসংগীতে মো. শামসুল হক, নৃত্যকলায় সেলিম মিলকী, নাট্যকলায় আবদুল বারেক সরকার ও আলোকচিত্রীতে এম এ মালেক।
এ সময় অতিথিদের সঙ্গে জেলা সংস্কৃতি কর্মকর্তা সৈয়দা সাহিদা বেগম উপস্থিত ছিলেন।
দেশের প্রতিটি জেলায় ২০১৩ সাল থেকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা দেওয়া শুরু হয়। তারই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি দ্বিতীয়বারের মতো এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এ সময় উপস্থিত অতিথিরা তাঁদের বক্তব্যে বলেন, গুণীজনদের সম্মান করলেই গুণীর জন্ম হয়। তাই নারায়ণগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির এই উদ্যোগ অন্যান্য গুণী শিল্পী ও পরবর্তী প্রজন্মকে শিল্প-সংস্কৃতিতে আরো উৎসাহী করবে। তাঁরা আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জে জেলা সংস্কৃতি কর্মকর্তা আসার পর থেকে শিল্পকলা একাডেমি তাঁর প্রাণ ফিরে পেয়েছে। জ্যেষ্ঠ শিল্পীরাও মূল্যায়িত হচ্ছেন।
গুণী শিল্পী সম্মাননা প্রদানের পরই শুরু হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তী উদযাপন। এতে রবীন্দ্র ও নজরুলসংগীত পরিবেশন করেন দেশের খ্যাতনামা শিল্পীরা। এ ছাড়া আবৃত্তি, নৃত্য ও নৃত্যনাট্য পরিবেশন করে শিল্পকলা একাডেমির শিক্ষার্থীসহ অন্য শিল্পীরা। অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক উপস্থিত ছিলেন।