সিলেটে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মরদেহে সর্বস্তরের শ্রদ্ধা
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মরদেহে শ্রদ্ধা জানিয়েছে সিলেটের সর্বস্তরের মানুষ। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হেলিকপ্টারযোগে তাঁর মরদেহ সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
এর পর বেলা ১১টার দিকে সদ্যপ্রয়াত প্রবীণ রাজনীতিবিদের মরদেহ সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে পৌঁছালে এক শোকবিহ্বল পরিবেশ তৈরি হয়।
সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যে নির্মিত বিশেষ মঞ্চে তাঁর মরদেহ রাখা হয়। এখানেই তাঁর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন সর্বস্তরের জনতা।
সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ, বিএনপি, গণতান্ত্রিক পার্টি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন ও ছাত্রসংগঠনের নেতারা তাঁর মরদেহ বহনকারী কফিনে পুষ্পস্তবক দিয়ে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
এখানে সর্বস্তরের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মরদেহ বেলা ১টায় নেওয়া হবে সুনামগঞ্জে। এরপর বিকেল ৩টায় সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের নির্বাচনী এলাকা সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লায়) নিয়ে যাওয়া হবে তাঁর মরদেহ।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে শাল্লা পরে তাঁর জন্মভূমি দিরাই উপজেলার আনোয়ারপুরে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তাঁর শেষকৃত্য হবে। শেষকৃত্যের আগে মুক্তিযোদ্ধা সুরঞ্জিতকে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানো হবে।
এর আগে আজ সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতাল থেকে তাঁর মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের উদ্দেশে রওনা হয়। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে সুনামগঞ্জের পথে নেওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে রয়েছেন সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মহিবুল ইসলাম, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত।
এর আগে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার ভোররাত ৪টা ২৪ মিনিটে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ৭২ বছর বয়সে ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে পরলোকগমন করেন তিনি।