পাঁচ নেতা নিয়ে খালেদা জিয়া সোনারগাঁওয়ে
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করতে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে পৌঁছেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ রোববার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তিনি হোটেলে পৌঁছান। বিকেল ৪টার দিকে বৈঠক শুরু হওয়ার কথা।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে রয়েছেন বিএনপির পাঁচ নেতা। তাঁরা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান ও সাবিহ উদ্দিন আহমেদ।
এর আগে বিকেল ৩টার কিছু আগে গুলশানের বাসভবন থেকে সোনারগাঁও হোটেলের উদ্দেশে রওনা দেন খালেদা জিয়া।
বিএনপির চেয়ারপারসনের গণমাধ্যম কর্মকর্তা শায়রুল কবীর খান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে বিকেল ৩টার কিছু আগে গুলশানের বাসভবন থেকে রওনা দেন খালেদা জিয়া। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন পাঁচজন নেতা।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠকে বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, গণতন্ত্র, নির্বাচন ইত্যাদি ইস্যুতে মোদির সঙ্গে বিএনপির প্রধান কথা বলবেন বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে।
মোদির ঢাকা সফরের প্রথম দিন শনিবার বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ভারত সরকারের ২২টি চুক্তি ও সমঝোতা সই হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম স্থলসীমান্ত চুক্তির প্রটোকলের অনুসমর্থনে সই। এর মধ্য দিয়ে দেশভাগের পর থেকে জিইয়ে থাকা ছিটমহল সমস্যা সমাধান হলো।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে থেকেই নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছিল বিএনপির নেতৃত্বাধীন তৎকালীন ১৮-দলীয় জোট। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট এই দাবির প্রতি কর্ণপাত না করে নির্বাচন দেয় এবং জয়লাভ করে সরকার গঠন করে। যদিও সে সময়ই আন্তর্জাতিক মহলে এ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। একই সঙ্গে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ফলে সংসদে প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদাও হারায় বিএনপি।
চলতি বছর শুরুর দিকে বর্তমান সংসদের মেয়াদের এক বছর উপলক্ষে আবারো নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের জানায় বিএনপি ও এর জোটসঙ্গীরা। এ নিয়ে মহাজোট ও ২০-দলীয় নেতাকর্মীরা পাল্টাপাল্টি অবস্থান নেয়। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র রক্ষা দিবস ও বিএনপি গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন করে। এ উপলক্ষে ৫ জানুয়ারি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের ডাক দেয় ২০-দলীয় জোট। কিন্তু পুলিশি বাধায় চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় থেকে বেরই হতে পারেননি খালেদা জিয়া। এরপর ৬ জানুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেন তিনি। টানা ৯৩ দিনের অবরোধ-হরতালের পর কর্মসূচি প্রত্যাহার করে ২০-দলীয় জোট। বাসায় ফিরে যান খালেদা জিয়া।
সর্বশেষ, ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে অংশ নেয় ২০-দলীয় জোট। এই নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির অভিযোগে এনে তা বর্জন ঘোষণা দেয় তারা।