ছাত্রলীগের দুই বহিষ্কৃত নেতার রিমান্ড নাকচ
ঢাকার গুলিস্তানে ফুটপাতের হকারদের উচ্ছেদকালে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি ছোড়ার ঘটনায় করা হত্যাচেষ্টা মামলায় ছাত্রলীগের দুই বহিষ্কৃত নেতার রিমান্ড নাকচ করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) এস এম মাসুদ জামান এ নির্দেশ দেন।
সিএমএম আদালতে দুই আসামিকে সাত দিনের রিমান্ড শুনানির জন্য হাজির করা হয়। রিমান্ড নাকচের পাশাপাশি জামিনের আবেদন খারিজ করেন বিচারক।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মাহমুদুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারী তাঁদের জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
দুই আসামি হলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সাব্বির হোসেন ও ওয়ারী থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আশিকুর রহমান। দুজনই বর্তমানে সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত।
এদিকে নথি থেকে জানা যায়, গত বছরের ৪ ডিসেম্বর দুই ছাত্রলীগ নেতার জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরবর্তী সময়ে তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কাগজ শাহবাগ থানায় পাঠানো হয়। ওই দিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। কিন্তু ছাত্রলীগের নেতারা আদালত থেকে পালিয়ে যাওয়ায় রিমান্ড শুনানি হয়নি। আজ সে বিষয়ে রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হলো।
রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘দুই আসামি আদালত থেকে জামিন নেওয়ার পর তা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় আসে। আর এতে অনেক সমালোচনা হয়। আসামিদের অস্ত্র দেখানোর দৃশ্যও পত্রিকায় আসে। এ আসামিরা অস্ত্র কোথা থেকে পেলেন এবং অস্ত্রগুলো বৈধ কি না, তা যাচাই-বাছাই করতে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।’
এর আগে গত বছরের ১৭ নভেম্বর ছাত্রলীগের এ দুই নেতা অত্যন্ত গোপনীয়ভাবে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন।
এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর গুলিস্তান পাতাল মার্কেট এলাকার ফুটপাত থেকে অবৈধ দোকান উচ্ছেদের সময় হকারদের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের কর্মচারীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এ সময় ছাত্রলীগের তৎকালীন দুই নেতা অস্ত্র উঁচিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করেন।
এ ঘটনায় শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল মান্নান বাদী হয়ে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। মামলায় ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সাব্বির হোসেন ও ওয়ারী থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আশিকুর রহমানসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়। গুলি ছোড়ার ঘটনা প্রকাশের পর সংগঠন থেকে এঁদের বহিষ্কার করা হয়।