বিএনপির সাবেক এমপিসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
বিরোধীদলীয় নেতা থাকাকালে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরের ওপর হামলার মামলায় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্যসহ ৫০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা মুখ্য বিচারিক হাকিম নিতাই চন্দ্র সাহার আদালতে এই অভিযোগ গঠনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বিচারক আগামী ২৮ জুন এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন।
গত ১৮ মে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( তদন্ত ) শেখ সফিকুর রহমান সাত মাস তদন্ত শেষে সাতক্ষীরা মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে রয়েছেন তালা-কলারোয়া আসনের দুই বারের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাবিবুল ইসলাম হাবিব, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতা শেখ আবদুস সাত্তার ও কলারোয়া পৌরসভার মেয়র সাবেক ছাত্রদল নেতা মো. আকতারুল ইসলাম ছাড়াও একাধিক ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবদল নেতা। আসামিদের মধ্যে ছয়জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
শেখ আবদুস সাত্তারসহ চার আসামি উচ্চ আদালতের জামিনে রয়েছেন। পাঁচজন আসামি আগে থেকেই গ্রেপ্তার রয়েছেন। এ ছাড়া আলাউদ্দিন নামের আরো একজন আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।
যা ঘটেছিল সেদিন
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট খুলনার একটি কর্মসূচি শেষ করে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা কলারোয়ার হিজলদি গ্রামের আহত মুক্তিযোদ্ধাপত্নী ও ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা হাসাপাতালে আসেন। শেখ হাসিনা তাঁকে সান্ত্বনা দেন এবং সাতক্ষীরা শহরের হাসপাতাল মোড়ে এক পথসভায় বক্তব্য দিয়ে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। শেখ হাসিনা দুপুর ১২টার দিকে সাতক্ষীরা থেকে একদল সাংবাদিককে সাথে নিয়ে কলারোয়া হয়ে যশোর ফিরে যাওয়ার সময় কলারোয়া বাজারে হামলার শিকার হন। সন্ত্রাসীরা খুব কাছ থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লেও তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এ সময় উপর্যুপরি বোমায় কেঁপে ওঠে কলারোয়া। শেখ হাসিনা গাড়ি থেকে নেমে হামলাকারীদের কাছে জানতে চান ‘কি চাও তোমরা?’ শেখ হাসিনার নিরাপত্তাকর্মীরা দ্রুত তাঁকে গাড়ির ভেতরে নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এ ছাড়া হামলার শিকার হয়ে আহত হন তাঁর ৩০ সফরসঙ্গীর বেশ কয়েকজন। এ হামলার শিকার হন সাংবাদিকরাও।