২০৪১ সালের পর ইউরোপ-আমেরিকার মতো নাগরিক সুবিধা
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2017/02/19/photo-1487523559.jpg)
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত দেশে পরিণত হব। আর তখন বাঙালিরা ইউরোপ-আমেরিকার নাগরিকদের মতো সুযোগ-সুবিধা পাবে।’
রোববার দুপুরে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলা পরিষদ চত্বরে ‘যত্ন’ প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান এ দেশ থেকে ভিক্ষা দিতে, কিন্তু বিএনপি চায় ভিক্ষা নিতে। আপনারা কাকে ভোট দেবেন, যারা ভিক্ষা দিতে পারবেন তাদের? নাকি যারা ভিক্ষা নিতে চায় তাদের?’
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, অতি দরিদ্র, অন্তঃসত্ত্বা নারী ও পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুসহ তাদের মায়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় দুই হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘যত্ন’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের অধীনে সুবিধাভোগী মা অন্তঃসত্ত্বাকালীন অবস্থায় চার বার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ৮০০ টাকা পাবেন, ০ থেকে ২৪ মাস বয়সী শিশু প্রতিমাসে ওজন ও উচ্চতা পরিমাপের জন্য তিন মাসে এক হাজার ৫০০ টাকা পাবে, ২-৫ বছর বয়সী শিশু প্রতি তিন মাসে একবার অংশগ্রহণের জন্য ১ হাজার টাকা পাবে। এ ছাড়াও অন্তঃসত্ত্বা নারী এবং ০ থেকে ৫ বছর বয়সী শিশু পুষ্টি ও মনোদৈহিক বিকাশ সংক্রান্ত শিক্ষামূলক সেশনে অংশগ্রহণের জন্য ৩ মাসে ১ হাজার ৫০০ টাকা পাবে। এ সময় মন্ত্রী প্রকল্পের উপকার ভোগীদের মধ্যে ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে অর্থ প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
জানা গেছে, এ প্রকল্পের আওতায় কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, গাইবান্ধা, শেরপুর, জামালপুর ও ময়মনসিংহ জেলার ৪৩ উপজেলার ৪৪৩টি ইউনিয়নের ছয় লক্ষাধিক মা ও শিশু বিভিন্ন সুবিধা পাবেন। ‘যত্ন’ কর্মসূচির আওতায় দরিদ্র মা ও গর্ভবতী নারী, শিশুর পুষ্টির উন্নয়ন ও মানসিক বিকাশ সহায়ক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের বিনিময়ে অর্থ সহায়তা পাবেন।
বিশ্বব্যাংক এ কর্মসূচিতে ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেবে। এতে ১০ লাখের বেশি শিশু উপকৃত হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি চিমিয়াও ফান, স্থানীয় সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল মালেক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাফর আলী, জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন।
পরে মন্ত্রী ভুরুঙ্গামারীর জয়মনিরহাট ইউনিয়নে ইউএনডিপির সহায়তায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্বপ্ন প্রকল্পের কর্মীদের মধ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ, সড়ক নির্মাণ ও বৃক্ষ রোপণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।