কাঠগড়া থেকে নেমে তীব্র ক্ষোভ ডা. জাফরুল্লাহর
আদালত অবমাননার দায়ে এক ঘণ্টার সাজা শেষে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাজা দিয়ে ট্রাইব্যুনালের তিন বিচারপতি মানসিক অসুস্থতার পরিচয় দিয়েছেন। বিচারপতিরা সমালোচনা সহ্য করতে পারেন না।’
urgentPhoto
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় দুপুর ১২টা ৪৯ মিনিট থেকে এক ঘণ্টার সাজা ভোগ করেন। ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যানের সাজার বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দেওয়ায় আদালত অবমাননার দায়ে তাঁকে এ সাজা দেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে তাঁকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘সমালোচনা থেকে বিরত রাখার অর্থ হচ্ছে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করা।’
‘আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি। কোনো বিষয়ে মন্তব্য বা সমালোচনা করা আমার গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু আমার মন্তব্য বা সমালোচনা বিচারপতিরা সহ্য করতে পারেননি। রায়ের বেশির ভাগ অংশই ছিল রাগ ও ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ,’ যোগ করেন ডা. জাফরুল্লাহ।
আজ বুধবার সকালে বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-২ ডা. জাফরুল্লাহকে সাজা দেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি মো. মজিবর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. শাহীনুর ইসলাম।
ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর এক ঘণ্টা ২০ মিনিট বিলম্ব করে কাঠগড়ায় যাওয়ার ব্যাপারে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘রায়ের পর আমি আদালতকে বলেছিলাম, আমি আপিল করব। সে জন্য আমি রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়েছিলাম। আদালত স্থগিত করেননি।’
ডা. জাফরুল্লাহ আরো বলেন, ‘রায়ের বিরুদ্ধে আমি আপিল বিভাগে আপিল করব। আপিল আমার পক্ষে এলে আদালত কি আমার জীবনের এক ঘণ্টা সময় ফিরিয়ে দিতে পারবেন? নাকি তারা কাঠগড়ায় উঠে এক ঘণ্টা সাজা ভোগ করবেন? আমি পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা দেব না। আমি আশা করি, আপিল বিভাগের রায় ন্যায়বিচারের পক্ষে যাবে।’
এদিন বিবৃতিদাতা অপর ২২ বিশিষ্ট নাগরিককে আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন ট্রাইব্যুনাল-২।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি আরো ১৫ জনকে একই অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আদালত অবমাননার দায়ে বার্গম্যানকে সাজা দেওয়ায় এর নিন্দা জানিয়ে গত বছর ২০ ডিসেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে বিবৃতি দেন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। এরপর ট্রাইব্যুনাল-২ তাঁদের কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা জানতে চান।