দাম চাওয়ায় দোকানিকে পেটালেন ছাত্রলীগ নেতা
সিগারেটের টাকা চাওয়ায় এক দোকানি দুই দফা সাঙ্গোপাঙ্গ নিয়ে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালেন মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা রমিজ উদ্দিন। আহত দোকানি দানেজ হোসেনকে (৫০) গতকাল বুধবার রাতে গুরুতর অবস্থায় সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
রমিজকে কিছু দিন আগে অটোরিকশা ভাঙচুরের অভিযোগে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আহত দানেজের বাড়ি সিংগাইর পৌর এলাকার পুকুরপাড়া এলাকায়। পৌর বাজারে তাঁর পান-সিগারেটের দোকান রয়েছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন দানেজ হোসেন আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে জানান, রাত ১০টার দিকে ছাত্রলীগ নেতা রমিজ তাঁর দোকানে এসে সিগারেট নেন। তারপর টাকা না দিয়ে রমিজ চলে যেতে চাইলে দানেজ টাকা চান। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রমিজ ও তাঁর লোকজন দানেজকে দোকান থেকে টেনে-হিঁচড়ে পাশের গলিতে নিয়ে মারধর করেন।
স্থানীয়রা এগিয়ে এলে রমিজ ও তাঁর লোকজনের হাত থেকে দানেজ রক্ষা পান। এরপর রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে বাজারের সরুজের স’ মিল এলাকায় রমিজ ও তাঁর লোকজন আবারও মারপিট করেন বলে অভিযোগ করেন দানেজ।
এ সময় চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এসে দানেজকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
সিংগাইর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল বারেক খান এনটিভি অনলাইনকে জানান, বাজারের মধ্যে একজন ব্যবসায়ীকে এভাবে মারপিট করা ন্যক্কারজনক।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাদিকুল ইসলাম সোহা বলেন, কিছুদিন আগে অটোরিকশা ভাঙচুরের অভিযোগে রমিজ উদ্দিনকে সাময়িক বহিষ্কার ও শোকজ করা হয়। এখন সিগারেট ব্যবসায়ীকে মারপিটের ঘটনা সত্য হলে তাঁকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে।
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে জানার জন্য রমিজ উদ্দিনের মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।