থানার পাশেই গুলি-বোমার তাণ্ডব, স্বর্ণের দোকান লুট
পটুয়াখালীর বাউফল পৌর শহরে থানা থেকে ১০০ গজ দূরে সন্ধ্যাবেলায় গুলি ছুড়ে ও বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে একটি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি করেছে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা দোকান থেকে শতাধিক ভরির স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে গেছে। গুলি ও বোমার আঘাতে আহত হয়েছেন চারজন। আহতদের বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে পৌর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কুণ্ডুপট্টি সড়কের বীণা জুয়েলার্সে এ ঘটনা ঘটে বলে এনটিভি অনলাইনকে জানান বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজম ফারুকী। তিনি জানান,
জুয়েলারি দোকানের আশপাশ থেকে চারটি তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্বৃত্তদের ধরতে আশপাশের থানায় বার্তা পাঠানো হয়েছে।
বীণা জুয়েলার্সের মালিক আওয়ামী লীগ নেতা ও বাউফল পৌরসভার সাবেক প্রশাসক জীবন কৃষ্ণ সাহা। তিনি জানান, বোমার আঘাতে দোকানের ব্যবস্থাপক কৃষ্ণ সাহা, কর্মচারী শ্রীবাস, শ্যামল কর্মকার ও কৃষ্ণ কুণ্ডু গুরুতর আহত হয়েছেন।
দোকান থেকে কী পরিমাণ মালামাল লুট হয়েছে এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য না জানাতে পারলেও জীবন কৃষ্ণ সাহা দাবি করেন, দোকান থেকে শতাধিক ভরি স্বর্ণালংকার ও কিছু টাকা লুট হয়েছে।
আহত ব্যবস্থাপক কৃষ্ণ সাহা জানান, সন্ধ্যায় জুয়েলার্সে সাত-আটজন মধ্যবয়সী ক্রেতা আসে। দোকানে ঢুকেই তারা মুখোশ পরে নেয় এবং অতর্কিতে দোকানের সামনে ও ভেতরে পাঁচ-ছয়টি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় দোকান কর্মচারীরা হতভম্ব হয়ে পড়েন।
পরে দুর্বৃত্তরা আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে দোকানে শতাধিক ভরি স্বর্ণালংকার একটি বস্তায় ভরে ফেলে এবং যাওয়ার সময় আবারও বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় ও ফাঁকা গুলি করে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, দুর্বৃত্তরা দোকানের দক্ষিণ পাশের সাবরেজিস্ট্রি কার্যালয়সংলগ্ন খাল পেরিয়ে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়।
এদিকে এ ঘটনার পর পরই পৌর শহরের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। সব জায়গায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।