মাগুরায় ১৪৪ ধারা অমান্য করে প্রাচীর বানাচ্ছেন পুলিশের ডিসি
মাগুরা সদর উপজেলার ফুলবাড়ি গ্রামে পুলিশের এক উপকমিশনারের (ডিসি) বিরুদ্ধে আদালতের জারি করা ১৪৪ ধারা অমান্য করে চাচাদের জমি দখলে নিয়ে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ কর্মকর্তার নাম আবদুল্লাহ আরেফ। তিনি খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) দক্ষিণ জোনের উপকমিশনারের (ডিসি) দায়িত্বে রয়েছেন।
মামলার বাদী ডিসি আবদুল্লাহ আরেফের চাচা রেজাউল করিম অভিযোগ করেন, তাঁর পৈতৃক জমি দখল করে ক্ষমতার জোরে অবৈধভাবে পুলিশ ও এলাকার মাদক ব্যবসায়ী বদর মিন্টুর সহায়তায় সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করছেন আবদুল্লাহ আরেফ।
এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার মাগুরার আদালত ১৪৪ ধারা জারি করে ওই জমিতে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ বন্ধের আদেশ দেন। গতকাল শনিবার নোটিশ পাওয়ার পরও দ্রুতগতিতে নির্মাণ করা করা হচ্ছে।
আবদুল্লাহ আরেফের আরেক চাচা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফয়জুল কবির জানান, ১০ বছর আগে পৈতৃক জমিজমা আরেফের উপস্থিতিতে ভাগাভাগি করা হয়। সেই মোতাবেক সবাই যার যার অংশ ভোগদখল করছে। কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তা হওয়ার পর ক্ষমতার জোরে আবদুল্লাহ চাচাদের জমি দখল করে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আবদুল্লাহ আরেফ এলাকার সাধারণ মানুষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাঁর ইচ্ছামতো ব্যবহার করেন।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজমুল হুদা জানান, ফুলবাড়ী গ্রামে আদালতের ১৪৪ ধারার নিষেধাজ্ঞা যথাসময়ে জারি করা হয়েছে। বাদীর কোনো অভিযোগ থাকলে আদালতকে অবহিত করবেন।
পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আরেফ বলেন, ‘আমার বাবা মারা যাওয়ার দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও চাচারা আমাকে জমির ভাগ বুঝিয়ে দেননি। তাই আমার মা জমির সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ শুরু করলে আদালতের নিষেধাজ্ঞায় তা বন্ধ রাখা হয়েছে। ক্ষমতা দেখানোর বিষয়টি সত্য নয়।’