মিডিয়া সর্বোচ্চ স্বাধীনতা ভোগ করছে : ইনু
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বাংলাদেশে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ স্বাধীনতা ভোগ করছে। তিনি আজ সোমবার সংসদে সরকারি দলের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেনের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯ (ক) ও (খ) অনুচ্ছেদে প্রত্যেক নাগরিকের বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদানসহ সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে। সে অনুযায়ী বর্তমান সরকার তথ্যের অবাধ প্রবাহে বিশ্বাসী।
‘বাংলাদেশে সকল দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও ত্রৈমাসিক পত্রিকা ব্যক্তি মালিকানায় প্রকাশিত হয়ে থাকে। এ সব প্রিন্ট মিডিয়া সংবাদসহ নিজস্ব মতামত বিনা বাধায় পরিবেশন করে থাকে। প্রিন্ট মিডিয়ার মতো ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমও স্বাধীনভাবে সম্প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।’
হাসানুল হক ইনু বলেন, ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম কোনো রকম হস্তক্ষেপ ছাড়াই তাদের নিজস্ব নীতিমালা অনুসরণ করে সংবাদ, টকশো ও অন্যান্য অনুষ্ঠান প্রচার করছে। অনুমোদিত ৪১টি বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলের মধ্যে ২৩টি বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল সম্প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আশা-আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরার পাশাপাশি বিনোদন, সংবাদ ও আবহাওয়া বার্তা পরিবেশনের ক্ষেত্রে কমিউনিটি রেডিওগুলো প্রশংসনীয় কাজ করছে। অনুমোদনকৃত ৩২টি কমিউনিটি রেডিওর মধ্যে ১৫টি কমিউনিটি রেডিও কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বর্তমানে বাংলাদেশে বেসরকারি মালিকানায় ১৩টি এফএম বেতারকেন্দ্র প্রচার কার্যক্রম চালাচ্ছে।’
হাসানুল হক ইনু বলেন, জনসাধারণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করার জন্য বর্তমান সরকার ‘তথ্য অধিকার আইন- ২০০৯’ প্রণয়নসহ তথ্য কমিশন গঠন করেছে। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে দায়বদ্ধতা সৃষ্টির জন্য বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রিন্ট মিডিয়া ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের পেশাগত মানোন্নয়নের জন্য যথাক্রমে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট ও জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে মানদণ্ড নির্ধারণ করে ‘জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা, ২০১৪’ জারি হওয়ায় নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের পথ সুগম হয়েছে। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যগুলো সরকারের কোনো বিধি-নিষেধ ছাড়াই সংবাদ পরিবেশন করছে।