হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র গউছ ফের বরখাস্ত
দায়িত্ব নেওয়ার ১০ দিনের মাথায় ফের বরখাস্ত হলেন হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র বিএনপি নেতা জি কে গউছ। তিনি বিগত নির্বাচনে কারাগার থেকে তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন। পরে প্যারোলে মুক্তি নিয়ে শপথগ্রহণ করেন এবং জামিনে মুক্তি পেয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
আজ রোববার বিকেল ৪টার দিকে মেয়রকে বরখাস্তের আদেশ আসে। সুনামগঞ্জে আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভায় বোমা হামলা মামলায় অভিযোগপত্রে নাম থাকায় তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো. মাহমুদুল আলম স্বাক্ষরিত আদেশটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বিকেল ৪টার দিকে ফ্যাক্সবার্তায় পৌঁছায়।
বার্তায় বলা হয়েছে, ‘জি কে গউছের বিরুদ্ধে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল মামলা-৪/২০০৯-এর সম্পূরক অভিযোগপত্র গত ২২ মার্চ আদালতে গৃহীত হয়েছে। যে কারণে হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জি কে গউছকে স্থানীয় সরকার বিভাগ আইন ২০০৯-এর ১২ উপধারা প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মেয়র গউছ বরখাস্তের প্রতিক্রিয়ায় বিকেলে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে মেয়র নির্বাচিত করেছে। বরখাস্তের আদেশের বিরুদ্ধে আমি আইনের আশ্রয় নেব।’
বরখাস্তের আদেশের কপি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে হবিগঞ্জ স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. সফিউল আলম জানান, সুনামগঞ্জের একটি মামলার অভিযোগপত্র আদালতে গৃহীত হওয়ায় তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় ২০১৪ সালে দেওয়া সর্বশেষ সম্পূরক অভিযোগপত্রে মেয়র জি কে গউছকে আসামি করা হয়। একই বছর ২৮ ডিসেম্বর তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগার থেকেই তিনি তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন। সম্প্রতি তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান। এরপর ২৩ মার্চ মেয়র হিসেবে হবিগঞ্জ পৌরসভার দায়িত্ব নেন।
এরপর গউছ হবিগঞ্জ পৌরসভার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করেন এবং নিয়মিত অফিস করে আসছিলেন। এর মধ্যেই আজ তাঁকে বরখাস্ত করা হয়।