মাছ-মুরগির খাদ্যে ট্যানারির বর্জ্য ব্যবহার বন্ধের রায় বহাল

মাছ ও মুরগির খাবার তৈরিতে ট্যানারির বিষাক্ত বর্জ্য ব্যবহার বন্ধে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
আজ রোববার শিল্প মালিকদের করা এ-সংক্রান্ত আবেদন বাতিল করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, মির্জা হোসেইন হায়দার।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন মনজিল মোরসেদ। অন্যদিকে শিল্পমালিকদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস।
২০১০ সালের ২৬ জুলাই জনস্বার্থে এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১১ সালের ২১ জুলাই বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের বেঞ্চ এক মাসের মধ্যে এ বর্জ্য ব্যবহার করে মাছ-মুরগির খাবার তৈরি করা কারখানা বন্ধের নির্দেশ দেন।
হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ এ বিষয়ে একটি রিট মামলা দায়ের করেছিলেন।
আবেদনে বলা হয়, ট্যানারি বর্জ্য ব্যবহার করে তৈরি করা খাদ্য মুরগি ও মাছ উভয়ের জন্যই অস্বাস্থ্যকর। এসব অস্বাস্থ্যকর খাদ্য দিয়ে চাষ করা মুরগি ও মাছ খেলে মানুষের জন্যও মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন কারখানা শোয়েব এন্টারপ্রাইজের মালিক গোলাম সারোয়ার। গত বছরের ৭ ডিসেম্বর তাঁর আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।
এর পর ফের আবেদন পুনরুজ্জীবিত করেন গোলাম সারোয়ার। যে আবেদন রোববার বাতিল করে দেন আপিল বিভাগ।