স্ত্রীকে মারধর, মাদক কর্মকর্তা কারাগারে
যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগে খাগড়াছড়ি জেলার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মাহবুবুর রহমান কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে বিচারক মো. আওলাদ হোসেন ভূঁইয়া তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. রহম আলী জানান, মামলার আসামি মাহবুবুর রহমান আদালতে আত্মসমর্পণের শর্তে হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের জামিন নিয়েছিলেন। এর আগে তিনি বেশ কিছুদিন পলাতক ছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষে আজ তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। শুনানি শেষে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশে অভিযোগ গঠন করা হয়।
মামলার বরাত দিয়ে আইনজীবী মো. রহম আলী বলেন, ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১ (গ) ধারায় ওসির বিরুদ্ধে গত বছরের ১৫ জুন মামলা করেন তাঁর স্ত্রী ফারজানা তাসমিন। মামলায় ওসির বিরুদ্ধে ১০ লাখ টাকার যৌতুক দাবির আনা হয়। এ ছাড়া যৌতুক দিতে রাজি না হওয়ায় তাঁকে নিয়মিত তাঁর স্বামী শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন বলে অভিযোগ করেন।
মো. রহম আলী আরো জানান, এর আগে স্বামীকে চরিত্রহীন উল্লেখ করে প্রতিবেশী এক নারীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কের অভিযোগ এনেছিলেন ওই কর্মকর্তার স্ত্রী ফারজানা। তিনি গত বছরের ৫ জুন কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাদী ফারজানা তাসমিনের বাড়ি জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতি ইউনিয়নের নোয়াগাঁও মৌলভীপাড়ায়। তিনি বর্তমানে জেলার গাইটাল শ্রীধরখিলা এলাকার বাসিন্দা। তাঁর স্বামী মাহবুবুর রহমানের বাড়ি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার মোজাফফরপুর গ্রামে। ২০১৫ সালের ২৪ এপ্রিল সাড়ে তিন লাখ টাকা দেনমোহরে পারিবারিক সম্মতিতে তাঁদের বিয়ে হয়।
মামলায় বাদীপক্ষে আইনজীবী রহম আলী ছাড়াও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এম এ আফজল। আসাসিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. মাজহারুল ইসলাম বাচ্চু।