অক্সিজেন থাকার পরও দিলেন না সেবিকা!
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/06/21/photo-1434905225.jpg)
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অক্সিজেন থাকার পরও এক সেবিকা তা দেননি। এতে গত বৃহস্পতিবার রাতে সোহরাব ছৈয়াল নামের এক রোগীর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার বিচারের দাবিতে আজ রোববার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে বিক্ষোভ করেন রোগীর স্বজনরা।
রোগীর স্বজন ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত ১৮ জুন বৃহস্পতিবার রাতে নড়িয়া পৌরসভার নবগ্রামের সোহরাব ছৈয়াল (৬০) অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে ওই রাতেই নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এ সময় জরুরি বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন চিকিৎসক কানিজ ফাতেমা। তাঁকে না পেয়ে বাসা থেকে চিকিৎসক আতিকুর রহমানকে ডেকে আনা হয়। এ সময় রোগীকে অক্সিজেন দিতে সেবিকাকে নির্দেশ দেন চিকিৎসক। হাসপাতালে অক্সিজেন থাকা সত্ত্বেও অক্সিজেন না দিয়ে তাঁকে সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অক্সিজেন মজুদ ছিল জানতে পেরে আজ রোববার সকালে রোগীর স্বজনরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে এসে বিক্ষোভ করেন।
রোগীর শ্যালক জাহাঙ্গীর ছৈয়াল বলেন, ‘আমরা রোগী নিয়ে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে গিয়ে কোনো চিকিৎসক পাইনি। পরে বাসা থেকে চিকিৎসক আতিকুর রহমানকে ডেকে আনা হয়। চিকিৎসক এসে অক্সিজেন দেওয়ার কথা বলেন। আমরা রোগীকে দোতলায় নিয়ে যাই। কর্তব্যরত নার্স বনানী পারভিন বলেন, তাঁদের কাছে কোনো অক্সিজেন নেই। তাঁকে শরীয়তপুর নেওয়ার কথা বলে অক্সিজেনের বিষয়টি এড়িয়ে যান। সময় মতো অক্সিজেন দিতে পারলে আমাদের রোগী বাঁচানো যেত। আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে এর উপযুক্ত বিচার চেয়ে অভিযোগ করব।’
এ ব্যাপারে কথা বলতে নার্স বনানী পারভীনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাঁকে পাওয়া যায়নি। নার্সদের ইনচার্জ শিল্পী আক্তার বলেন, ‘আমি সকালে ডিউটি করে চলে যাওয়ার সময় অক্সিজেন রেখে গিয়ে ছিলাম। কেন তাঁরা অক্সিজেন দিল না তা আমার জানা নেই।’
নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে, হাসপাতালে অক্সিজেন থাকা পরও কেন রোগীকে অক্সিজেন দেওয়া হলো না বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।