মাঠে বসে খেলা দেখবে মুস্তাফিজের পরিবার
বিশ্বের শক্তিশালী ব্যাটিংলাইন আপ ভারতকে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। পরপর দুটি ওয়ানডে ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচ-সেরা। বাংলাদেশ প্রথম বারের মতো ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে তাঁর দুর্দান্ত কাটার আর স্লোয়ারে। ক্রিকেট বিশ্বে একটাই নাম আলোচিত- তা হচ্ছে মুস্তাফিজ, মুস্তাফিজ।
সেই মুস্তাফিজের পরিবারের সদস্যরা দুটি ওয়ানডে দেখেছেন টেলিভিশনে, সাতক্ষীরায় গ্রামের বাড়িতে বসে। এবার আর বাড়িতে নয়। ভারতকে বাংলাওয়াশের আশায়, ছেলের কীর্তি দেখতে সরাসরি মিরপুরে শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুস্তাফিজের খেলা দেখবেন পরিবারের সদস্যরা। গ্যালারিতে থাকবেন তাঁর বাবা আবুল কাশেম গাজী, মাসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। থাকবেন ক্রিকেটে মুস্তাফিজকে প্রেরণা দেওয়া ভাইয়েরাও।
ঢাকায় রওনা দিতে আজ মঙ্গলবার দুপরে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রাম থেকে খুলনায় আসেন মুস্তাফিজের বাবা আবুল কাশেম গাজী। মহানগরী খুলনার সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকায় থাকেন মুস্তাফিজের বড় ভাই মাহফুজুর রহমান। তিনি একটি বেসরকারি মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের খুলনা কার্যালয়ে চাকরি করেন।
মাহফুজুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বুধবার শেষ ওয়ানডে ম্যাচ আমরা পরিবারের সবাই মিরপুরে স্টেডিয়ামে বসে দেখব। এরই মধ্যে টিকিট নিশ্চিত হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘মা খুলনায় আমাদের বাসায় এর আগের দুটি খেলা দেখেছেন। বাবা আবুল কাশেম সাতক্ষীরায় বাড়িতে বসে দেখেছেন। বুধবার আমরা একসঙ্গে চোখের সামনে মুস্তাফিজকে খেলতে দেখব।’
চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে মুস্তাফিজ সবার ছোট। তাঁর অন্য তিন ভাইও স্থানীয়ভাবে ভালো ক্রিকেটার।
মুস্তাফিজের মা মাহমুদা খাতুন বলেন, ‘ছেলের এই খেলায় আমি খুশি, ছেলে আরো ভালো করুক ও দেশ জিতে যাক- এই কামনা করি।’ তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।
মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘প্রথম দিনের খেলার সময়ে ভারতের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির ধাক্কা খেয়ে বাইরে চলে যাওয়ার পর মাসহ পরিবারের সদস্যরা চিন্তিত হয়ে পড়েন। কিন্তু পরে ফিরে আসায় এবং পর পর দুই ম্যাচে সাফল্য আর বিশ্ব রেকর্ড করার কারণে গোটা পরিবার এখন খুশি।’
মুস্তাফিজুরের ভাবি তানিয়া সুলতানা বলেন, ‘মুস্তাফিজ এখন শুধু আমাদের পরিবারের গর্ব নয়, সে দেশের গর্ব।’
মুস্তাফিজের বাবা আবুল কাশেম বলেন, ‘মুস্তাফিজ এখন শুধু আমার ছেলে নয়, সে ১৬ কোটি মানুষের ছেলে। সে আরো ভালো করুক।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমার মনে বিশ্বাস ছিল, মুস্তাফিজ ভালো করবে। আমার ধারণা ছিল যে মুস্তাফিজুরের বল কোনো অচেনা খেলোয়াড় স্বাভাবিকভাবে খেলতে পারবে না। ভারতের বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানরা তার বলের সাথে পরিচিত নয়।’