সেই গম নীলফামারীর খাদ্য গুদামে
ব্রাজিল থেকে সরকারিভাবে আমদানি করা ‘নিন্মমানের’ গমের মধ্যে এক হাজার ২০০ টনের একটি চালান এখন নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন সরকারি খাদ্য গুদামে এসেছে।
এ সব গম গ্রহণ করেন সৈয়দপুর সরকারি খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রহমান সরকার। তবে গমের মান সম্পর্কে কোনো তথ্য দিচ্ছেন না সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। যদিও এর মধ্যে কিছু গম আবার ময়দার মিলেও সরবরাহ করা হয়েছে বিভিন্ন প্রকল্পে দেওয়ার জন্য।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি ২৮টি ওয়াগনে করে আনা এক হাজার ২০০ টন গম সৈয়দপুর রেল স্টেশন ইয়ার্ডে খালাস করা হয়। সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন ইয়ার্ডে খালাস হওয়া গমের মধ্যে থেকে ৫০০ টন ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলায় এবং ৪০০ টন নীলফামারী জেলার বিভিন্ন গুদামে পাঠানো হয়েছে। অবশিষ্ট ৩০০ টন গম সৈয়দপুর সরকারি খাদ্য গুদামে মজুদ করা হয়েছে।
সম্প্রতি ব্রাজিল থেকে আনা গমের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ‘দেখতে খারাপ’ এসব গম খাবারের অনুপযোগী। গমের মান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।
তবে গত শনিবার (২১ জুন) সংসদে ৩০০ বিধিতে দেওয়া এক বিবৃতিতে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, খাদ্য অধিদপ্তরে নিম্নমানের গম আমদানির বিষয়ে যেসব কথাবার্তা হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন।
এর পরই গত সোমবার পচা গম আমদানির হোতাদের খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানায় বিএনপি। পাশাপাশি নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের পদত্যাগও দাবি করে দলটি।
সর্বশেষ আজ বুধবার খাদ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ‘ব্রাজিল থেকে আমদানিকৃত গমের পুনঃপরীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী পচা কিংবা মানুষের খাবার অনুপোযোগী কোনো গম পাওয়া যায়নি। চুক্তিতে বর্ণিত নির্দেশ মোতাবেক এ গম পাওয়া গেছে।’
সৈয়দপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মাহবুব হাবীব হাসান সাংবাদিকদের জানান, সরকারি খাদ্য গুদামে মজুদ করা কিছু গম এরই মধ্যে আমরা ময়দা মিলে সরবরাহ করেছি। এর কিছু দেওয়া হবে কাজের বিনিময়ে ও টেস্ট রিলিফ প্রকল্পে। কী পরিমাণ গম কতগুলো ময়দার মিলে সরবরাহ করা হয়েছে তা জানাননি তিনি।