নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে যাচ্ছে আ.লীগ
আগামীকাল শনিবার থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির সর্বাত্মক অগ্রযাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে আলোচনা সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে যুবলীগ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য আওয়ামী লীগ বর্ধিত সভার আয়োজন করেছে শনিবার। সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন। এর মাধ্যমে আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতির সর্বাত্মক অগ্রযাত্রা শুরু করব আমরা।’
যেসব এমপি-মন্ত্রী আলোচনা সভায় আসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসেন, না আগামীতে তাঁদের দাওয়াত না দিতে যুবলীগকে পরামর্শ দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
বিদেশিদের কাছে নালিশ না করার পরামর্শ দিয়ে বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিদেশিরা কি ক্ষমতায় বসাবে? ক্ষমতার উৎস দেশের জনগণ। নালিশ করতে হলে দেশের জনগণের কাছে করুন। বিদেশিদের কাছে নালিশ করে দেশের ১৬ কোটি মানুষের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করবেন না।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব বলছেন সমঝোতা করার জন্য। সমঝোতার দরজা তো আপনারা বন্ধ করে দিয়েছেন। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পরে বোমা মেরে মানুষ হত্যা করে। সর্বশেষ শোকাহত মা খালেদা জিয়াকে দেখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করে ফিরিয়ে দিয়েছেন। এরপরও আপনার কীভাবে সমঝোতার আশা করেন।’
ওবায়দুল কাদের দাবি করেন, বিএনপি আবার একটি ৫ মের মতো শাপলা চত্বর সৃষ্টি প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু তারা শেখ হাসিনার কৌশলের কাছে হেরে গেছে। তার আগে প্রধানমন্ত্রী কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতি দিয়েছেন।
যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশিদ।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পান আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। সেই নির্বাচন বিএনপি বর্জন করে। এর আগে সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকলেও দশম সংসদ থেকে দলটি বাইরে রয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে ২০১৯ সালে। বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের অধীনে এ নির্বাচন হবে।