খালেদাসহ ১৪ জনের জবাব দাখিলের সময় বাড়ল
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে ড্যান্ডি ডাইংয়ের ৪৫ কোটি টাকা ঋণখেলাপির মামলায় জবাব দাখিলের সময়সীমা বাড়িয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতের বিচারক ফাতেমা ফেরদৌসের কাছে মামলায় জবাব দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদিন মেজবা আজ জবাব দাখিল করতে পারবেন না মর্মে সময়ের আবেদন করেন।
আইনজীবী আবেদনে বলেন, জবাব দাখিলের জন্য তাঁদের আরো সময়ের প্রয়োজন।
ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে জবাব দাখিলের জন্য আগামী ১৪ জুলাই পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন।
এ ছাড়া মৃত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান, দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমান বিদেশে থাকায় তাদের পক্ষে এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
এ মামলায় গত ১২ এপ্রিল খালেদা জিয়া, মৃত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান এবং দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানসহ চারজনকে ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রোকসানা আক্তার হ্যাপির আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছিলেন।
এ মামলাটির শুরুতে নতুন করে বিবাদীভুক্ত এ চারজন ছিলেন না। কোকোর মৃত্যুর কারণে ইসলামী শরিয়াহ আইনের বিধান মোতাবেক উত্তরাধিকারী হিসেবে তাদের বিবাদীভুক্ত করতে ৮ মার্চ আদালতে আবেদন করেন সোনালী ব্যাংকের আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন। গত ১৬ মার্চ আদালত তাদের বিচারক বিবাদীভুক্ত করেন।
২০১৩ সালের ২ অক্টোবর বিবাদীদের বিরুদ্ধে ৪৫ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৫ টাকা ঋণ খেলাপির অভিযোগে মামলা করেন সোনালী ব্যাংকের মতিঝিল স্থানীয় কার্যালয় শাখার সিনিয়র নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিবাদীরা ড্যান্ডি ডাইংয়ের পক্ষে ১৯৯৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সোনালী ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন করেন। ওই বছরের ৯ মে সোনালী ব্যাংক বিবাদীদের আবেদন করা ঋণ মঞ্জুর করেন।
এরপর ২০০১ সালের ১৬ অক্টোবর বিবাদীদের আবেদনক্রমে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সুদ মওকুফ করেন। এরপর বিবাদীদের আবেদনক্রমে ঋণ পুনর্তফসিলিকরণও করা হয়। কিন্তু বিবাদীরা ঋণ পরিশোধ না করে ক্রমাগত কালক্ষেপণ করতে থাকেন। এ ছাড়া আরো অভিযোগ করা হয়, ২০১০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের পক্ষ থেকে ঋণ পরিশোধের জন্য চূড়ান্ত নোটিশ দেওয়া হলেও বিবাদীরা কোনো ঋণ পরিশোধ করেননি।
এ মামলার বিবাদীরা হলেন ড্যান্ডি ডাইং লিমিটেডের প্রয়াত সাঈদ এস্কান্দারের ছেলে শামস এস্কান্দার ও সাফিন এস্কান্দার, মেয়ে সুমাইয়া এস্কান্দার, স্ত্রী বেগম নাসরিন আহমেদ, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তাঁর ভাই আরাফাত রহমান কোকো, বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, মামুনের স্ত্রী শাহীনা ইয়াসমিন, কাজী গালিব আহমেদ, শামসুন নাহার ও মাসুদ হাসান।
এ মামলার ১০ নম্বর বিবাদী মোজাফফর আহমেদ মারা গেলে তাঁর স্ত্রী শামসুন্নাহার ও ছেলে মাসুদ হাসানকে বিবাদীভুক্ত করা হয়।