সীমান্তরক্ষার জন্য কিছুই করা হচ্ছে না : খালেদা জিয়া
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘সীমান্তরক্ষার জন্য কিছুই করা হচ্ছে না। মিয়ানমারের সঙ্গে পর্যন্ত এখন সীমান্ত রক্ষী পারে না।’ তিনি আরো বলেন, ‘সেই মিয়ানমার এখন আমাদের সীমান্তরক্ষীকে ধরে নিয়ে যায়। দেশের সম্মান আর কোথায় রেখেছে ওরা (সরকার)। সীমান্তরক্ষীও শেষ করে দিয়েছে।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ইস্কাটনে লেডিস ক্লাবে এক ইফতার অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন খালেদা জিয়া। বাংলাদেশ লেবার পার্টি এ ইফতার অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘বর্তমান জাতীয় সংসদ সম্পূর্ণভাবে অকার্যকর।’ এ সময় সব দলের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে দ্রুত নির্বাচনের দাবি করেছেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘জাতীয় সংসদে বিরোধী দল বলে কিছু নেই। জাতীয় সংসদে বিতর্ক করার জন্য কোনো এজেন্ডা থাকে না। তাই আজ দেশের এ অবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হলো অতি দ্রুত একটি নির্বাচন করা, যে নির্বাচন সব দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে। এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে হবে।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘জাতীয় সংসদ এখন গানবাজনার আসর হয়ে গেছে। বিরোধী দল বলে কিছু নেই। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় কেনা গুলি এ দেশের জনগণের ওপরই ব্যবহার করা হয়। আসলে সীমান্তরক্ষার জন্য কিছুই করা হচ্ছে না।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের সীমান্তরক্ষী কী রকম চৌকস ছিল আপনারা জানেন।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘(সরকার) পুলিশ শেষ করে দিয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও শেষ করেছে। জাতিটাকে আজকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র করে এ আওয়ামী লীগকে বসানো হয়েছে। তাঁদের দীর্ঘদিন রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে নানা ভাবে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।