ঘূর্ণিঝড় মোরা : রাঙামাটিতে গাছচাপায় দুজনের মৃত্যু
ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে রাঙামাটি শহরের পৃথক দুটি স্থানে গাছের চাপায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো গৃহবধূ হাজেরা বেগম (৪৫) ও স্কুলছাত্রী জাহিদা সুলতানা (১৪)। রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মুহাম্মদ শওকত আকবর খান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শহরের আসামবস্তি এলাকায় ভেঙে পড়া গাছের আঘাতে গুরুতর আহত হন হাজেরা। তাঁকে উদ্ধার করে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। অপরদিকে শহরের ভেদভেদীর মুসলিমপাড়া এলাকায় গোড়া থেকে মাটি সরে গিয়ে গাছ পড়ে মারা যায় নবম শ্রেণির ছাত্রী জাহিদা সুলতানা।
আজ সকাল থেকে শুরু হওয়া মোরার তীব্র আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে রাঙামাটির যোগাযোগ ব্যবস্থা। অচল হয়ে গেছে জনজীবন। সড়কের বিভিন্ন স্থানে বসতঘর ও সড়কের ওপর ভেঙে পড়েছে বড় বড় গাছ ও ডালপালা।
রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের তথ্য মতে, জেলা শহরের কলেজ গেইট, কল্যাণপুর, তবলছড়ি, আসামবস্তি, রিজার্ভ বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে চলাচলের রাস্তা ও বসতঘরের ওপর গাছ ভেঙে পড়েছে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সড়ক বিভাগের লোকদের সঙ্গে এক হয়ে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে কাজ করছেন।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মো. মানজারুল মান্নান জানান, তিনি জেলার সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় সার্বক্ষণিক খবর নিচ্ছেন। মোরার ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে আপডেট তথ্য পেতে জেলা প্রশাসকের ত্রাণ অফিসে মনিটরিং সেল খোলা হয়েছে।
জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা বিশ্বনাথ মজুমদার জানা, মোরার আঘাতে নিহত দুজনের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণ মজুদ রয়েছে। তিনি নিজেও শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে প্রতিবেদন তৈরি করছেন।