পাহাড়িদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৩ বাঙালি আটক
রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় যুবলীগ নেতা হত্যার প্রতিবাদ মিছিল থেকে পাহাড়িদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তিন বাঙালিকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার দুপুরে যুবলীগ নেতা নুরুল ইসলাম নুরু হত্যার প্রতিবাদে লংগদুবাসীর ব্যানারে আয়োজিত এক মিছিল থেকে উপজেলা সদরের প্রধান সড়কের পাশে তিনটিলা এলাকায় পাহাড়িদের অসংখ্য বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর লংগদু উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন।
এর পর পরই অগ্নিসংযোগের অভিযোগে সেনাবাহিনীর সদস্যরা তিনজনকে আটক করে পুলিশে দেয় বলে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুজিবুল ইসলাম।
এঁদের মধ্যে দুজনের নাম জানাতে পেরেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন আবুল খায়ের ও মোহাম্মদ সবুজ মিয়া।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার লংগদু উপজেলা থেকে ভাড়ায় মোটরসাইকেলচালক ও স্থানীয় সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন দুজন যাত্রী নিয়ে দীঘিনালার উদ্দেশে রওনা হন। কিন্তু দুপুরের পর দীঘিনালার চারমাইল এলাকায় তাঁর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে সন্ধ্যায় ফেসবুকে নয়নের মৃতদেহের ছবি দেখে শনাক্ত করেন পরিবার ও বন্ধুরা।
আজ শুক্রবার সকালে নয়নের লাশ লংগদুতে তাঁর গ্রামের বাড়ি বাইট্টাপাড়া আনা হয়। সেখান থেকে লংগদুবাসীর ব্যানারে কয়েক হাজার বাঙালির একটি বিশাল শোক মিছিল উপজেলা সদরের দিকে যাচ্ছিল জানাজার উদ্দেশে।
হঠাৎ একই উপজেলার ঝর্ণাটিলা এলাকায় মারফত আলী নামের এক বাঙালির বাড়িতে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে—এমন খবর পেয়ে এই মিছিল থেকেই প্রধান সড়কের পাশের লংগদু উপজেলা জনসংহতি সমিতির কার্যালয়সহ আশপাশের পাহাড়িদের বাড়িঘরে ব্যাপক অগ্নিসংযোগ করা শুরু হয়।