ফখরুলসহ ৪৬ জনের অভিযোগ গঠনের শুনানি ২৮ সেপ্টেম্বর
হরতালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে গাড়ি পোড়ানোর মামলায় বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৪৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর। আজ ঢাকা মহানগর হাকিম আতাউল হক এ দিন নির্ধারণ করেন।
আদালতে আজ মামলাটির অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন ছিল। কিন্তু মামলাটি হাইকোর্টের শুনানির অপেক্ষায় থাকায় এবং কারাগার থেকে মির্জা ফখরুল ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে আদালতে হাজির না করায় আসামিপক্ষের আইনজীবী জয়নাল আবেদিন মেজবা অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তা মঞ্জুর করে এ দিন নির্ধারণ করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী জয়নাল আবেদিন মেজবা এ বিষয়ে এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ২৯ এপ্রিল এয়ারপোর্ট রোডে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় ফ্যালকন টাওয়ারের সামনে রাত ৯টা ৫ মিনিটের সময় একটি বাস (ঢাকা-মেট্রো-জ-২১০৯) ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগে তেজগাঁও থানায় মির্জা ফখরুলসহ ৪৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করে পুলিশ।
পরে গত বছর ১০ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক নুরুল আমিন ঢাকার সিএমএম আদালতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এর পর একই বছরের ২৭ মে আবারো ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক আবদুল জব্বারকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
মির্জা ফখরুল ছাড়া এ মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হচ্ছেন—বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা, এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ছাত্রদলের সাবেক নেতা কামরুজ্জামান রতন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান, স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম ফজলুল হক মিলন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আমীরুল ইসলাম খান আলীম, সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান খোকন, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার, ঢাকা মহানগর যুবদলের সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম মজনু, বিজেপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ইয়াছিন আলী, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম নীরব, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তির চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নীলু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবদুল মতিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশীদ হাবিব, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামাল আনোয়ার আহমেদ লিটু, বিএনপি নেতা ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার আবুল বাসার, বিএনপি নেতা ও ৪০ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ থানা বিএনপি নেতা লুৎফর রহমান ওরফে এল রহমান, বিএনপির সাবেক ধর্মবিষয়ক সম্পাদক নবী সোলায়মান, খিলগাঁও থানা বিএনপির সভাপতি সাবেক কমিশনার ইউনুছ মৃধা, তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ইসমাইল খান শাহীন, স্বেচ্ছাসেবক দল মোহাম্মদপুর থানা শাখার সভাপতি মান্নান হোসেন শাহীন, ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখার যুগ্ম সম্পাদক ওবায়দুল হক নাসির।
এ ছাড়া জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল হোসেন, ঢাকা মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম বুলবুল, ছাত্রশিবিরের সভাপতি দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী ও সেক্রেটারি আবদুল জব্বার ওরফে জসিমকেও আসামি করা হয়েছে।